‘প্রযুক্তির ব্যবহার অগ্রাহ্য করার সুযোগ নেই‘

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, ‘প্রযুক্তির ব্যবহার অগ্রাহ্য করার সুযোগ নেই। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে স্বল্প খরচে নিখুঁতভাবে কাজ করা যায়। মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল (এমডিজি) অর্জন করতে হলে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিকল্প নেই। এ লক্ষ্যে ডিজিটালাইজেশনের দিকে দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।’

মঙ্গলবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট বার মিলনায়তনে ল’ চেম্বার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এলসিএমএস) নামে একটি ওয়েবসাইট ভিত্তিক সফটওয়্যারের আপডেট ভার্সন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ছিদ্দিক এন্টারপ্রাইজ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে বদলে যাচ্ছে বিচার বিভাগের কাজের ধরন। কাজের গতিও বেড়েছে। বেড়েছে মামলা নিষ্পত্তির হারও। আমরা এখনও পুরোপুরিভাবে বিচার বিভাগকে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনতে সক্ষম হইনি। ই-ফাইলিং ব্যবস্থা এখনও চালু করা সম্ভব হয়নি। আশা করা যায়, দ্রুততম সময়ের মধ্যে ডিজিটাল বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানুষের জন্য দ্রুত ও সময়োপযোগী বিচার পদ্ধতি দিতে পারবে।’

তিনি জানান, ইতোমধ্যেই সরকার ই-জুডিশিয়ারির প্রকল্প হাতে নিয়েছে। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘ছিদ্দিক এন্টারপ্রইজের ল’ চেম্বার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এলসিএমএস) আইনজীবীদের পেশাগত কাজে গতি আনবে বলে বিশ্বাস করি। এই উদ্যোগ সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে আইনজীবীরা সঠিকভাবে তাদের চেম্বার ব্যবস্থাপনা করতে সক্ষম হবেন। এই পদ্ধতি উচ্চ আদালতে মামলা ব্যবস্থাপনায় বিচারক ও আইনজীবীদের কাজকে সহজতর করবে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ.ম রেজাউল করীম এমপি। ছিদ্দিক এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী জনাব এএম আমিন উদ্দিন। অনুষ্ঠানে সমিতির সম্পাদক এএম মাহবুবউদ্দিন খোকন বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সমিতির সহসম্পাদক শরীফ ইউ আহমেদ।

উল্লেখ্য, ছিদ্দিক এন্টারপ্রাইজ প্রায় ১৫ বছর ধরে আইনাঙ্গনে আধুনিকায়নের মাধ্যমে বিভিন্ন সেবা দিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় সারাদেশের আইনজীবীদের উচ্চ ও নিম্ন আদালতের মামলা এবং চেম্বার ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত সহজ ও চমৎকারভাবে পরিচালনার জন্য অত্যাধুনিক সফটওয়্যারটি তৈরি করা হয়েছে।


ঢাকা/মেহেদী/সনি