ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ভিড়ের মধ্যে একজন রিগ্যানকে আইএসের টুপি দেন

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৪২, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ভিড়ের মধ্যে একজন রিগ্যানকে আইএসের টুপি দেন

হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার মামলায় গত ২৭ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি রাকিবুল ইসলাম ওরফে রিগ্যান ও জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধীর মাথায় থাকা আইএসের লোগো-সম্বলিত কালো টুপি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এত নিরাপত্তার মধ্যে এই টুপি কোথা থেকে এলো, সবার মনে একই প্রশ্ন।

মঙ্গলবার রাজধানীর কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের মামলায় রিগ্যানকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আইএসের টুপির বিষয়ে রিগ্যানের কাছে জানতে চান আদালত। রিগ্যান জানান, ভিড়ের মধ্যে অপরিচিত একজন তাকে টুপিটি দিয়েছেন।

কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের মামলায় আজ সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমানের আদালতে শুনানির দিন ধার্য ছিল। এ মামলার আসামি ১০ জন। আসামির মধ্যে রিগ্যানসহ নয়জন কারাগারে আছেন। অপর আসামি পলাতক। আদালত পলাতক আসামি আজাদুল কবিরাজকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন। এ মামলায় আগামী ১৯ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

আজ বিচারক রিগ্যানের কাছে জানতে চান, আইএসের মনোগ্রাম-সম্বলিত টুপি কোথায় পেলেন? জবাবে রিগ্যান বলেন, ভিড়ের মধ্যে একজন টুপিটি দিয়েছেন। বিচারক জানতে চান, কে দিয়েছে? রিগ্যান বলেন, চিনি না। তখন বিচারক বলেন, টুপিটি নিলেন কেন? রিগ্যান বলেন, কালেমা শাহাদাত লেখা ছিল, ভালো লাগায় টুপিটি নিয়েছি। বিচারক বলেন, আর কাউকে কি টুপি দিয়েছিল? তখন রিগ্যান বলেন, না আর কাউকে দেয়নি। প্রিজন ভ্যানে ওঠার পর রাজীব গান্ধী আমার টুপিটি নিয়ে পরেছে।

এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম গত বছরের ৫ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। গত ৯ মে মামলাটি বিচারের জন্য সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। গত ১৮ জুলাই আদালত ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন।

আসামিরা হলেন- রাকিকুল হাসান রিগ্যান (২১), সালাহ্ উদ্দিন কামরান (৩০), আব্দুর রউফ প্রধান (৬৩), আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র‌্যাশ  (২০), শরীফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ওরফে সোলায়মান (২৫), মামুনুর রশিদ রিপন ওরফে মামুন (৩০), আজাদুল কবিরাজ ওরফে হার্টবিট (২৮), মুফতি মাওলানা আবুল কাশেম ওরফে বড় হুজুর (৬০), আব্দুস সবুর খান হাসান ওরফে সোহেল মাহফুজ ওরফে নাসরুল্লা হক ওরফে মুসাফির ওরফে জয় ওরফে কুলমেন (৩৩) ও হাদিসুর রহমান সাগর (৪০)।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই ভোরে রাজধানীর কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কের ‘জাহাজ বিল্ডিং’ এর পঞ্চম তলায় পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযানে নয় সন্দেহভাজন জঙ্গি মারা যান। হাসান নামের একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করে পুলিশ। পালিয়ে যান একজন। তারা সবাই জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য বলে জানিয়েছিল পুলিশ।

ওই ঘটনায় ২৭ জুলাই রাতে মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক মো. শাহজাহান আলম বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৬(২), ৮, ৯, ১০, ১২ ও ১৩ ধারায় মামলা করেন। মামলায় ১০ জনকে আসামি করা হয়।

 

ঢাকা/মামুন খান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়