ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ফের জামিনে আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০৬, ৭ ডিসেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ফের জামিনে আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত

ফাইল ফটো

আলোচিত রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় প্রধান আসামি আপন জুয়েলার্সের কর্ণধার দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ ফের জামিন পেয়েছেন।

ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. খাদেম উল কায়েশ গত ৭ নভেম্বর জামিনের আদেশ দেন। যা শনিবার জানা গেছে।

২০১৭ সালের ১১ মে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা সাফাতের গত বছর ২৯ নভেম্বর একই বিচারক জামিন মঞ্জুর করেন। প্রায় আড়াই মাস কারামুক্ত থাকার পর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে চলতি বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি একই বিচারক তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠিয়েছিলেন।

পুনরায় জামিন হওয়া সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আফরোজা ফারহানা আহমেদ অরেঞ্জ বলেন, ‘আমার জানা মতে, ট্রাইব্যুনাল মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে আসামি সাফাতের জামিন মঞ্জুর করেছেন। শুনানির দিন আসামিপক্ষ পাইলস-সহ নানাবিধ সমস্যার কথা বলে জামিনের আবেদন করেন। সঙ্গে ওই সংক্রান্তে ডকুমেন্টও দাখিল করেছিলেন। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধীতা করেছিলাম। ট্রাইব্যুনাল উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে জামিন মঞ্জুর করেন।’

তবে বাদী পক্ষের ব্যক্তিগত আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ বলেন, ‘ধার্য তারিখে জামিনটা হয়নি। অনির্ধারিত তারিখে হয়েছে। যেহেতু অনির্ধারিত তারিখে জামিনের আবেদন করা হয়। তাই ভিকটিমদের ব্যক্তিগত আইনজীবী হিসেবে ট্রাইব্যুনাল থেকে আমাকে জানানো উচিত ছিল। কিন্তু আমাকে জানানো হয়নি। ’

এনিয়ে মামলাটির পাঁচ আসামির মধ্যে চার জন জামিনে গেলেন। জামিনে থাকা অপর তিন আসামি হলেন- সাফাত আহমেদের বন্ধু সাদমান সাকিফ, দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন। বর্তমানে সাফাতের অরেক বন্ধু নাঈম আশরাফ ওরফে এইচএম হালিম কারাগারে রয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ২৮ মার্চ জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে অস্ত্রের মুখে ঢাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। এ অভিযোগে ৬মে বনানী থানায় পাঁচ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই বছর ৭ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

চার্জশিটে আসামি সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচএম হালিমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় সরাসরি ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়।

অপর আসামি সাফাত আহমেদের বন্ধু সাদমান সাকিফ, দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে ওই আইনের ৩০ ধারায় ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ করা হয়। ২০১৭ সালের ১৩ জুলাই ট্রাইব্যুনাল আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে চার্জ গঠন করেন।


ঢাকা/মামুন খান/সনি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়