রুম্পা হত্যায় আরো ৪ জনকে খুঁজছে পুলিশ
ফাইল ফটো
স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পাকে হত্যার ঘটনায় আরো চার জনকে খুঁজছে গোয়েন্দারা। তারা সবাই একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বলে জানা গেছে।
সোমবার বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গণমাধ্যম শাখার প্রধান মাসুদুর রহমান বলেন, ‘সৈকত ছাড়া ঘটনাস্থলে আর কে কে ছিল সে বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন সৈকত। তবে তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।’
সৈকতকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদকারী এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, ঘটনার দিন সিদ্ধেশ্বরীতে আয়শা কমপ্লেক্সের ছাদে সৈকতের সঙ্গে আরো কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। তবে তাদের ভূমিকা কি ছিল, তারা রুম্পাকে ফেলে দিয়েছে কি না তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। রুম্পাকে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার তথ্য সৈকত দিয়েছেন বলে তথ্য মিলেছে।
এদিকে অপর একটি সূত্র বলছে, ঘটনাস্থলে আরো চার জন ছিল। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ছাত্র। তারা সবাই সৈকত এবং রুম্পার বন্ধু। রুম্পা-সৈকতের সম্পর্কটি কীভাবে মীমাংসা করার জন্য তাদেরকে ওই ভবনের ছাদে ডেকে আনেন সৈকত। তবে ঘটনার পর থেকে তারা পলাতক। তদন্তের স্বার্থেই তাদের নাম-পরিচয় এই মুহূর্তে প্রকাশ করা হচ্ছে না।
এর আগে গোয়েন্দা জিজ্ঞাসাবাদে সৈকত জানান, নয় মাস আগে তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ঘটনার দিন বিকেলে দুজনে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বাইরে দেখা করেন। রুম্পা বারবার অনুরোধ করলেও সৈকত সম্পর্ক রাখতে রাজি ছিলেন না। দুজনের মনোমালিন্য ও বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। রাত পৌনে ১১টায় সৈকত তার কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে রুম্পাকে ৬৪/৪ সিদ্ধেশ্বরীর আয়শা কমপ্লেক্সের ছাদে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে রুম্পাকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেন সৈকত।
উল্লেখ্য, বুধবার রাতে সিদ্ধেশ্বরীর সার্কুলার রোডে দুটি ভবনের মাঝখানে অজ্ঞাত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে মর্গে নিয়ে যায়। পরে রুম্পার মোবাইলের কললিস্টের সূত্র ধরে সৈকতকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
ঢাকা/মাকসুদ/সনি
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন