মেডিক্যাল রিপোর্ট : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের মুখে তালা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ে পৌঁছেছে।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে বিএসএমএমইউ থেকে সুপ্রিম কোর্টে খালেদা জিয়ার মেডিক্যাল রিপোর্ট পৌঁছে। সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট আসার বিষয়টি বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছেন এবং সাংবাদিকরা তা প্রত্যক্ষ করেছে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিতে আপিল বিভাগে এ রিপোর্ট উপস্থাপন করা হবে।
ছয় সদস্যের চিকিৎসকের মেডিক্যাল বোর্ড বেগম খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানিয়েছেন ও সুপারিশ করছেন এই রিপোর্টে। তবে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার রিপোর্ট আসা নিয়ে মুখ খুলছে না সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
মেডিক্যাল রিপোর্টের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আলী আকবরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোনো কথা বলব না। আপনারা সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্রের সাথে যোগাযোগ করুন। যা বলার তিনিই বলবেন ‘
পরে সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের অফিস কক্ষে গেলে সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি। তাকে ফোন দিলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে ফোন কেটে দেন।
এর আগে আপিল বিভাগে সিসি ক্যামেরা স্থাপন নিয়েও মুখ বন্ধ রেখেছিলেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। যদিও ইতোমধ্যেই আপিল বিভাগে আটটি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
এদিকে আগামীকাল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুনীর্তি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে আপিল বিভাগের আশেপাশের নিরাপত্তা পর্যক্ষেণ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
বুধবার সন্ধায় প্রধান বিচারপতি আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. বদরুল আলম ভূঁইয়াকে নিয়ে নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করেন।
এর আগে গত ২৮ নভেম্বর খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিতে সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানতে মেডিক্যাল বোর্ডের প্রতিবেদন চান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তা আদালতে আসার কথা ছিল।
তবে নির্ধারিত দিনে সেটি আদালতে না আসায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদার জামিন শুনানি এক সপ্তাহ পিছিয়ে ১২ ডিসেম্বর ধার্য্য করা হয় এবং ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে খালেদার শারীরিক অবস্থার রিপোর্ট দাখিল করতে বলা হয়।
জামিন শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার কারণে ৫ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে ব্যাপক হট্টগোল করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
ঢাকা/মেহেদী/সনি
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন