দুর্নীতির মামলায় রুপন রিমান্ডে, এনু গ্রেপ্তার

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা রুপন ভূঁইয়ার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তার ভাই এনামুল হক এনুকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে।

রোববার মামলার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন।

গত ১৩ জানুয়ারি সকালে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে রুপন ও এনুকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। ওই দিনই দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার তাদের দেখানোর আবেদন করে দুদক। আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে রোববার শুনানির তারিখ ধার্য করেন।

গ্রেপ্তারের পরদিন মানি লন্ডারিং আইনে পৃথক দুই মামলায় দুই ভাইয়ের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

রোববার রুপনকে গ্রেপ্তার দেখানোসহ সাত দিনের রিমান্ড আবেদন এবং এনামুল হককে গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানি হয়। প্রথমে আসামিদের গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানি হয়। আদালত আসামিদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর রুপনের রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন। দুদকের পক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রুপনের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের শেয়ারহোল্ডার এনু ছিলেন গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। তার ভাই রুপন ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়ার ৩৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজ পাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে ২৩ অক্টোবর পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে দুদক।

এনামুল হক এনুর বিরুদ্ধে ২১ কোটি ৮৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।

অন্যদিকে, অসৎ উদ্দেশ্যে অবৈধ পন্থায় নামে-বেনামে ১৪ কোটি ১২ লাখ ৯৫ হাজার ৮৮২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রুপন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে দুদকের অপর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী মামলা করেন।


ঢাকা/মামুন খান/রফিক