বিশ্বাস বিল্ডার্স ও ইঞ্জিনিয়ার্স আর্কিটেক্টসের এমডিদের তলব

ঠিকাদারি কাজে অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ এবং ক্যাসিনোসহ অন্যান্য অবৈধ কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগ অনুসন্ধানে বিশ্বাস বিল্ডার্স ও দি ইঞ্জিনিয়ার্স অ‌্যান্ড আর্কিটেক্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন সই করা পৃথক নোটিশে তাদেরকে আগামী ২৬ জানুয়ারি হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। দুদকের জনসংযোগ দপ্তর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

তলবকৃতরা হলেন- বিশ্বাস বিল্ডার্স এমডি নজরুল ইসলাম ও দি ইঞ্জিনিয়ার্স অ‌্যান্ড আর্কিটেক্টস লিমিটেডের এমডি শেখ মোস্তাহিদুর রহমান।

অভিযোগে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মকর্তাসহ প্রভাবশালীদের শত শত কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে বড় বড় ঠিকাদারি কাজ নিয়ে ভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ এবং ক্যাসিনোসহ অন্যান্য অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা অর্থ পাচার ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছে ঠিকাদার জিকে শামীমসহ গণপূর্তের বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের ধারাবাহিকতায় ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনোর মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করছে দুদক। শুদ্ধি অভিযান শুরুর পর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ পর্যন্ত ২০টি মামলা দায়ের করে সংস্থাটি।

যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তারা হলেন- ঠিকাদার জি কে শামীম, বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক এনু ও তার ভাই রুপন ভূইয়া, অনলাইন ক্যাসিনোর হোতা সেলিম প্রধান, বিসিবি পরিচালক লোকমান হোসেন ভূইয়া, কলাবাগান ক্লাবে সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজ, কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান, তারেকুজ্জামান রাজীব, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, এনামুল হক আরমান, যুবলীগ নেতা জাকির হোসেন ও তার স্ত্রী আয়েশা আক্তার সুমা, কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ, যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক আনিসুর রহমান ও তার স্ত্রী সুমি রহমান, ব্যবসায়ী মো. সাহেদুল হক, এনআর গ্লোবালের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদার, গণপূর্তের সিনিয়র সহকারী প্রধান মো. মুমিতুর রহমান ও তার স্ত্রী মোছা. জেসমীন পারভীন।

কমিশনের পরিচালক সৈয়দ ইকবালের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি টিম অনুসন্ধানের দায়িত্ব পালন করছেন। অন‌্য সদস্যরা হলেন- উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম, সালাহউদ্দিন আহমেদ, গুলশান আনোয়ার প্রধান, সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম, আতাউর রহমান ও মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী।

এর আগেও বিশ্বাস বিল্ডার্স এমডি নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের একটি অভিযোগ অনুসন্ধান করা হযেছিল বলে জানা যায়।


ঢাকা/এম এ রহমান/সাইফ