ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

যুবলীগের সাবেক নেতা জাকিরের স্ত্রীকে তলব

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৪৪, ২৭ জানুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
যুবলীগের সাবেক নেতা জাকিরের স্ত্রীকে তলব

ইসমাইল হোসেন সম্রাটের ঘনিষ্ঠ সহযোগী যুবলীগের সাবেক নেতা জাকির হোসেনের স্ত্রী আয়েশা আক্তার সুমা ওরফে সোমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন‌্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ।

সোমার বিরুদ্ধে ২৭ ডিসেম্বর সাড়ে ৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মামলা করে দুদক। মামলার তদন্তের স্বার্থে সোমবার সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম তলব করে চিঠি পাঠিয়েছেন।

তলবি নোটিশে তাকে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি হাজির হতে বলা হয়েছে। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অবৈধ সম্পদের মধ্যে রয়েছে সোমার নামে রাজধানীর পল্টনের ২৯৩ শতাংশ জমির উপর সাত তলা বাড়ি। এছাড়া তার আয়কর নথি পর্যালোচনায় আরো তিন কোটি ৯৫ লাখ টাকার স্থাবর সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক। বাস্তবে এসব সম্পদের মূল্য বহুগুণ বেশি।

এজাহার সূত্রে আরো জানা যায়, সোমা একজন গৃহিণী হয়েও বিভিন্ন অবৈধ পন্থায় নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন। বস্তুতঃ এসব সম্পদের অর্থের উৎস তার স্বামী। অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্যাদি পর্যালোচনায় সুমনের নামে তিন কোটি ৯৫ লাখ ৬২ হাজার ৭৮৮ টাকার স্থাবর এবং ৬৫ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদের পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ মোট চার কোটি ৬৩ লাখ ১৩ হাজার ৩০০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগে দুদক আইন ২০০৪ এর ৭(১) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।

এর আগে জাকির হোসেনের নামে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য ১৩ নভেম্বর দুদক মামলা করে।

তার সম্পদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- রাজধানীর পুরানা পল্টন ও বিজয়নগরে তার তিনটি বাড়ি আছে। রাজধানীর শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, বিজয়নগর ও সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় ফ্ল্যাট আছে ২৮টি। গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে আছে ১০০ কাঠা জমি।  কাকরাইলের ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারের যে ভবনটিকে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট তাঁর কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করতেন, ওই ভবনের চতুর্থ তলাও জাকিরের কেনা। সেখানেই প্রথম সম্রাট তাঁর অফিস করতেন। পরে ওই ভবনের অন্য তলাগুলোও দখলে নেওয়া হয়।

জাকির হোসেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য। ১৯৭৪ সালে বাস্তুহারা জাকিরের পরিবার বরিশাল ছেড়ে ঢাকায় চলে আসে। ঢাকায় তাদের ঠিকানা হয় ডেমরার চনপাড়া বস্তি। ওই বস্তিতে বেড়ে ওঠেন জাকির। ১৯৯১ সালের দিকে জাকির কাকরাইল এলাকায় পায়েল নামে একটি রেস্টুরেন্টে দৈনিক ৩০ টাকা বেতনে গ্লাস বয়ের কাজ নেন। এক বছর পর গ্লাস বয়ের কাজ ছেড়ে মাসে দুই হাজার টাকা বেতনে চাকরি নেন কাকরাইলের ফরিদপুর ম্যানসনের তৃতীয় তলায় ‘টনি ফিল্ম’ প্রতিষ্ঠানের পিয়ন হিসেবে।

ওই সময় আওয়ামী লীগ ঘরানার নেতাকর্মীদের নিয়মিত আড্ডা ছিল কাকরাইলের ফরিদপুর ম্যানসনের নিচে ‘হোটেল ম্যারাডোনা’কে কেন্দ্র করে। সেখানেই ইসমাইল হোসেন সম্রাটের সঙ্গে পরিচয় হয় জাকিরের। এরপর তাঁরা ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে ওঠেন। সম্রাট যাদের দিয়ে ক্যাসিনো ব্যবসা চালাতেন তাঁদের মধ্যে জাকির অন্যতম।


ঢাকা/এম এ রহমান/সাজেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়