ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

এমপি-মন্ত্রীর নির্দেশে চলবেন না: ইউএনওকে হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫২, ২৮ জানুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
এমপি-মন্ত্রীর নির্দেশে চলবেন না: ইউএনওকে হাইকোর্ট

আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও একটি কলেজের কাজে হস্তক্ষেপ ও অধ‌্যক্ষের সঙ্গে অসৌজন‌্যমূলক আচরণ করায় একজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)  এবং এক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ভর্ৎসনা ও কঠোরভাবে সতর্ক করেছেন হাইকোর্ট।

কবি নজরুল কলেজের ম্যানেজিং কমিটির কাজে হস্তক্ষেপের ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করায় উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. সোহাগ হোসেন ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক হারুনর রশিদকে এভাবে সতর্ক করা হয়।

মঙ্গলবার বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের সতর্ক করেন।

আদালত তাদের নি:শর্ত ক্ষমার আবেদন গ্রহণ না করে পরবর্তী শুনানির জন্য ১০ ফেব্রুয়ারি দিন রেখেছেন।

আদালত তাদেরকে উদ্দেশ্যে করে বলেছেন, ‘আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। তাই মন্ত্রী, এমপি-উপজেলা চেয়ারম্যানের নির্দেশে পরিচালিত হবেন না। নিরপেক্ষভাবে প্রশাসন পরিচালনা করুন।’

আদালত তাদেরকে প্রশ্ন্ রেখে বলেন, ‘স্থানীয় এমপি, উপজেলা চেয়ার‌ম্যান বললেই সেটা করতে হবে? আপনারা কি প্রমোশনের জন্য এসব করেন?’

আদালত বলেন, ‘আপনারা বিসিএস কোয়ালিফাইড অফিসার। স্থানীয় রাজনীতিতে জড়াবেন না। সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করুন। প্রমোশন এমনি হয়ে যাবে।’

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক রাজু। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট শামীমা ইসলাম মৌ ও স্নিগ্ধা সরকার।

অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক রাজু বলেন, ২০১৬ সালে নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার কবি নজরুল কলেজে মিস নারগিস আক্তারকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয় ম্যানেজিং কমিটি। নিয়োগের বিষয়টি শিক্ষা বোর্ডকে জানানো হয়।

পরে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক হারুনর রশিদ চিঠি ইস্যু করে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কীভাবে নিয়োগ দেওয়া হল, সে বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন। উপজেলার নির্বাহী অফিসারকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।

আইনজীবী বলেন, “যদিও ২০১৬ সালে হাইকোর্ট কলেজ পরিদর্শক, উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন ম্যানেজিং কমিটির কোন কাজে হস্তক্ষেপ না করে তাদেরকে সহযোগিতা করতে। তারা আদালতের এই আদেশ মানেনি। সম্প্রতি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদে থাকা নিয়ে কলেজ পরিদর্শক চিঠি দেন। এছাড়া গত ২৩ জানুয়ারি এসএসসি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত মিটিং এ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এমনকি মিস নারগিস আক্তারকে উদ্দেশ্যে করে মিটিং এ তিরষ্কার করে বলেন, ‘আপনি তো প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় চলেন, হাইকোর্টের ক্ষমতায় চলেন।”

আদালতের আদেশ না মানার বিষয়ে সম্পূরক আবেদন করা হয়। গতকাল উচ্চ আদালত তাদেরকে তলব করেন।

 

ঢাকা/মেহেদী/সাজেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়