ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে গিয়ে ধরা, আড়াই মাস কারাভোগ

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে গিয়ে ধরা, আড়াই মাস কারাভোগ

শিশুর শ্লীলতাহানির মামলায় মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে ধরা পড়েন মো. সাদ্দাম নামে এক আসামির স্ত্রী বিবি খাদিজা।

মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ায় আদালত খাদিজাকে কারাগারে পাঠান। প্রায় আড়াই মাস কারাভোগ করে সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছেন তিনি। 

মোহাম্মদপুর থানার জেনেভা ক্যাম্পের সাত নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা সাদ্দাম এ মামলার আসামি। তার স্ত্রী খাদিজা ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬ এ মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে ধরা পড়েন। সাদ্দামের গ্রামের বাড়ি ভোলার লালমোহন থানার দেবিরচরে। 

গত বছর ২৫ নভেম্বর মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। ওই দিন মামলাটির চার্জশিটভূক্ত তিন নম্বর সাক্ষী আফসানা বেগমের জায়গায় মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির হন বিবি খাদিজা।

বিবি খাদিজার পক্ষে তার আইনজীবী মঈনুল ইসলাম লিমন গত ৯ ফেব্রুয়ারি জামিন আবেদন করেন। তিনি বলেন, ‘খাদিজার তিন বছরের একটা বাচ্চা আছে। তার অবর্তমানে শিশুটি অনাদরে আছে। মানবিক কারণে তাকে জামিন দেয়া হোক।’

শুনানি শেষে বিচারক আল মামুন ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিনের আদেশ দেন।

আট বছরের শিশুকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে তার মা ২০১৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদপুর থানায় সাদ্দামকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, সাদ্দাম তার মেয়েকে প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় শ্লীলতাহানি করেছে। ৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে সাদ্দাম ওই শিশুকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। শিশুটি চলে আসার চেষ্টা করলে তার যৌনাঙ্গে আলপিন দিয়ে আঘাত করে জখম করা হয়।

মামলাটি তদন্ত করে মোহাম্মদপুর থানার এসআই শাহজালাল আলী ওই বছরের ১৯ নভেম্বর সাদ্দামকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। পরের বছর ২৪ মে আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

২০১৬ সালের ১৬ জুন মামলার বাদী আদালতে সাক্ষ্য দেন। এরপর আর কোন সাক্ষী আদালতে হাজির হননি। পরে আদালত সাক্ষীদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা ইস্যু করেন।

এ সম্পর্কে আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর জেসমিন আক্তার বলেন, খাদিজা বেগম চার্জশিটভূক্ত সাক্ষী নন। তিনি মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে আসেন। বিষয়টি আদালতের নজরে আসে। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তখন আদালত বেঞ্চ সহকারীকে মামলা দায়েরের কথা বলেন। কিন্তু তিনি মামলা না করায় আদালত তাকে ভৎসনা করেন।

মামলাটি আপোসের বিষয়ে জানতে চাইতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মামলাটি আপোসযোগ্য না।’

খাদিজার আইনজীবী মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘ভুল বোঝাবুঝির কারণে এ রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। মামলাটি আপোসের কথাবার্তা চলছে। আশা করছি, সেটি হয়ে যাবে।’

 

ঢাকা/মামুন খান/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়