ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

আসামি মৃত‌্যুর ঘটনায় ওসিসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩৫, ৫ মার্চ ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আসামি মৃত‌্যুর ঘটনায় ওসিসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন

ফাইল ফটো

পুলিশ হেফাজতে আলমগীর হোসেন নামে এক ব‌্যক্তির মৃত্যু মামলায় রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ-সহ (ওসি) চারজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আগামী ২০ এপ্রিল ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন ডিবি পুলিশের উত্তরের ডিসি প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এজন্য সময় আবেদন করা হয়।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ সময় আবেদন মঞ্জুর করে প্রতিবেদন দাখিলের এ তারিখ ঠিক করেন।

গত ১৫ জানুয়ারি উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি তপন চন্দ্র সাহাসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহতের স্ত্রী মোছা. আলো বেগম।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই মো. মিজানুর রহমান, এএসআই নামজুল ও মো. সোহাগ।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আলমগীর পেশায় একজন প্রাইভেটকার চালক ছিলেন। পরে পেশা বদলে রিক্সা-ভ্যানে করে উত্তরা ৭ নং সেক্টর এলাকায় গার্মেন্টসের গেঞ্জি, টি-শার্ট, প্যান্ট বিক্রি করতেন। গত ১৬ ডিসেম্বর পূর্ব পরিচিত শান্ত নামে এক ব‌্যক্তি আলমগীরকে ৭ নং সেক্টরে যেতে বলেন।

সেখানে গেলে এসআই মিজানুর রহমান ভিকটিম আলমগীরের পকেটে হাত ঢুকিয়ে বলে পকেটে ইয়াবা আছে। পকেটে কিছু না পেলেও একটি প্যাকেট দেখিয়ে বলে এগুলো পাওয়া গেছে। পরে তাকে মারধর করে। আসামিরা ভিকটিমের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আলমগীর তার স্ত্রীকে ফোন করে ৫০ হাজার টাকা দিতে বলে। ভ্যান চালক লালুর মাধ্যমে আলমগীরের স্ত্রী তা পাঠিয়ে দেন।

রাত ৩টা বেজে গেলেও আলমগীর বাসায় না ফেরায় তার স্ত্রী আলমগীরকে ফোন করেন। থানা থেকে একজন জানায়, আলমগীরের কাছে ইয়াবা পাওয়া গেছে। পরে তার স্ত্রী থানায় যান। থানায় গিয়ে একশ টাকার বিনিময়ে স্বামীর সাক্ষাত পান আলো বেগম।

আলমগীর তার স্ত্রীকে জানান, ইয়াবা পাওয়া গেছে মিথ্যা অভিযোগে তাকে ধরে এনেছে পুলিশ। তারা পাঁচ লাখ টাকা আদায়ের জন্য তাকে নির্যাতন করেছে। টাকা দিতে না পারায় এবং মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিতে অস্বীকার করায় মিজানুর রহমান, এএসআই নাজমুল এবং আরেক পুলিশ সোহাগ তাকে থানার চারতলায় নিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছে। তাকে মেরে পঙ্গু করে দিয়েছে।

এরপর আলমগীরকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার যেতে পুলিশ যখন গাড়িতে তোলে, তখন সে খুবই অসুস্থ বোধ করছিলেন। কয়েকজন মিলে তাকে টেনে নিয়ে গাড়িতে তোলে। পরে আদালত থেকে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আরো অসুস্থ হয়ে পড়ে আলমগীর। সেখান থেকে চিকিৎসার জন‌্য তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। গত ১৯ ডিসেম্বর বিকেলে মারা যান আলমগীর হোসেন।

বাদীর অভিযোগ- ওসি তপন চন্দ্র সাহার সহযোগিতায়, যোগসাজসে এবং নির্দেশে অপর তিন আসামি আলমগীরকে পিটিয়ে, নির্যাতন করে জখম করে। এই নির্যাতনের কারণেই কারাগারে নেওয়ার পর তার মৃত‌্যু হয়েছে।

 

ঢাকা/মামুন খান/সনি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়