সাংবাদিককে সাজার নথি তলব, আদেশ সোমবার
কুড়িগ্রামে বাংলা ট্রিবিউনের জেলা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামকে মধ্যরাতে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়ার আদেশের কপি তলব করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে ওই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট না টাস্কফোর্সের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
আগামীকাল সোমবারের (১৬ মার্চ) মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে তা জানাতে বলা হয়েছে। এছাড়া, রাষ্ট্রপক্ষের কাছে কয়েকটি প্রশ্নের জবাব চেয়েছেন আদালত।
সেগুলো হলো, মধ্যরাতে অভিযান পরিচালনার কারণ কী? অভিযান পরিচালনার তথ্য কীভাবে পাওয়া গেছে? কে দিয়েছে? এ সংক্রান্ত ডকুমেন্ট চেয়েছেন আদালত। কার সামনে মাদক পাওয়া গেছে সে তথ্যও দিতে বলা হয়েছে।
রোববার (১৫ মার্চ) বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল দেবাশীষ ভট্টচার্য।
এর আগে, আজ সকালে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে কারাদণ্ড দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। কুড়িগ্রামের ডিসি সুলতানা পারভীনসহ সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটদের তলব চাওয়ার পাশাপাশি ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়।
অনলাইন পত্রিকাটির নির্বাহী সম্পাদক হারুন উর রশীদের পক্ষে আইনজীবী ইশরাত হাসান জনস্বার্থে রিট দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, ১৩ মার্চ মধ্য রাতে কুড়িগ্রাম ডিসি অফিসের দুই-তিনজন ম্যাজিস্ট্রেট, ১৫-১৬ জন আনসার সদস্য গিয়ে সাংবাদিক আরিফুলকে বাসা থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। ডিসি অফিসে নেওয়ার পর তারা দাবি করেন, আরিফুলের বাসায় আধা বোতল মদ ও দেড়শ’ গ্রাম গাঁজা পাওয়া গেছে। আরিফুলকে রাতেই মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এক বছরের সাজা দেওয়া হয়।
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন