ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

এসকে সিনহাসহ ১১ জনের চার্জশুনানি ২৩ এপ্রিল

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:০৩, ২৫ মার্চ ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
এসকে সিনহাসহ ১১ জনের চার্জশুনানি ২৩ এপ্রিল

ক্ষমতার অপব্যবহার করে ফারমার্স ব্যাংকের চার কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ (এস কে সিনহা) ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৩ এপ্রিল ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (২৫ মার্চ) মামলাটি চার্জশুনানির জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন কারাগারে থাকা মামলার একমাত্র আসামি মাহবুবুল হক চিশতি ওরফে বাবুল চিশতিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়নি।

জামিনে থাকা অপর দুই আসামি ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) সাবেক এমডি এ কে এম শামীম ও সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিনও আদালতে হাজির হননি। এজন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম চার্জশুনানির এ তারিখ ঠিক করেন।

অপর আসামিরা হলেন- ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) সাবেক এমডি এ কে এম শামীম ও সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, ফারমার্স ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান, একই এলাকার বাসিন্দা নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায় এবং ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের উদ্যোক্তা পরিচালক ও অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী)।

গত ৫ জানুয়ারি দুদকের দেয়া চার্জশিট আমলে নিয়ে পলাতক ১১ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরে মামলাটিতে মাহবুবুল হক চিশতীকে গ্রেপ্তার দেখায় দুদক।

গত বছর ১০ জুলাই দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে কমিশনের জেলা সমন্বিত কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন। গত বছর ৯ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক বেনজীর আহমেদ চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহার নামে ফারমার্স ব্যাংকের মঞ্জুর ঋণের চার কোটি টাকা সুপ্রিম কোর্ট সোনালী ব্যাংক শাখায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার হিসাবে জমা হয়। সঞ্চয়ী হিসাব নং : ৪৪৩৫৪৩৪০০৪৪৭৫-এ জমা হওয়ার পর ওই টাকা বিভিন্নভাবে স্থানান্তর করে উত্তোলন করা হয়।

আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করে নিজেরা লাভবান হতে এবং অন্যদের লাভবান করতে এ ধরনের অপরাধ করেন।

তারা অবৈধভাবে ভুয়া ঋণ সৃষ্টির মাধ্যমে চার কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যাংকের হিসাবে স্থানান্তর করে নগদে উত্তোলন ও বিভিন্ন পে-অর্ডারের মাধ্যমে স্থানান্তর করেন।

অর্জিত অপরাধলব্ধ আয় ও অর্থ উত্তোলন, স্থানান্তর বা রূপান্তর ও নিজ আত্মীয়ের নামীয় হিসাবে হস্তান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন। পরে সেই অর্থ নিজেদের ভোগদখলে রেখে তার অবৈধ প্রকৃতি, উৎস অবস্থান গোপন বা এর ছদ্মাবরণে পাচার করেছেন মর্মে তদন্তে প্রমাণিত হয়।

যা দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২)(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

 

ঢাকা/মামুন খান/জেনিস

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়