ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

গোয়েন্দা নজরদারির ভিত্তিতেই মাজেদ গ্রেপ্তার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১২, ৭ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
গোয়েন্দা নজরদারির ভিত্তিতেই মাজেদ গ্রেপ্তার

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি ছিল।  পরে নিশ্চিত হয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেন গোয়েন্দারা।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার (০৭ এপ্রিল) দুপুরে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিস) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশের একটি বিশেষ দল সোমবার দিবাগত মধ‌্যরাতে মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। মূলত গোয়েন্দা নজরদারির ভিত্তিতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

তিনি কবে এদেশে আসেন? এমন প্রশ্নে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘এই মুহূর্তে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।  পরে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে’।

অবশ্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ইন্টারপোল প্রধান মহিয়ুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর পলাতক ৬ খুনি কে কোথায় আছেন তা নিশ্চিত হতে সম্ভাব্য দেশগুলোর সঙ্গে ইন্টারপোলের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা হয়।  মাজেদ সর্বশেষ ভারত ছিলেন এমন তথ্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে যোগাযোগ করা হলেও তারা নিশ্চিত করে কিছুই জানাতে পারেনি।  এরপরই তার বিষয়ে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়। আমি এতটুকু বলতে পারবো। কিন্তু গোয়েন্দারা কীভাবে তার সন্ধান পেয়েছেন বা তিনি কোন দেশ থেকে এসেছেন তা বলতে পারছি না।’

গোয়েন্দারা বলছেন, বিদেশ থেকে সম্প্রতি কারা দেশে এসেছেন তাদের হোম কোয়ারেন্টাইন করার জন্য গোপনে তদন্ত শুরু হয়।  তারই অংশ হিসেবে পল্লবীর সাড়ে ১১ নম্বর এলাকায় বেশ কিছুদিন মাজেদকে ঘোরাফেরা করতে দেখেন স্থানীয়রা। প্রথমে তারা থানা পুলিশকে জানান। এরপরই গোয়েন্দারা নিজস্ব সোর্সের মাধ্যমে তার ওপর নজরদারি শুরু করেন।  সেই সূত্র ধরে সোমবার রাতে রাজধানীর গাবতলী বাসস্ট্যান্ডের সামনে থেকে রিকশায় করে সন্দেহজনকভাবে যাচ্ছিলেন মাজেদ। অনুসরণ করে পল্লবীতে এলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাকে হেফাজতে নেয়। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কথাবার্তা সন্দেহ হয়। এক সময় নিজের নাম মাজেদ বলে স্বীকার করেন তিনি।  যিনি বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খুনি।

২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাঁচ খুনির ফাঁসি কার্যকর করা হয়। তারা হলেন- লেফট্যানেন্ট কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, লেফট্যানেন্ট কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মেজর বজলুল হুদা, লেফট্যানেন্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহম্মেদ (আর্টিলারি) ও লেফট্যানেন্ট কর্নেল একেএম মহিউদ্দিন আহম্মেদ (ল্যান্সার)।

এছাড়াও এ মামলার পাঁচ আসামি বিদেশে পালিয়ে রয়েছেন। পলাতক এই পাঁচজন হলেন- আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, এম রাশেদ চৌধুরী, এসএইচএমবি নূর চৌধুরী ও রিসালদার মোসলেম উদ্দিন। এদের মধ্যে কানাডায় নূর চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ে রাশেদ চৌধুরী। মোসলেম উদ্দিন জার্মানিতে ও শরিফুল হক ডালিম স্পেনে আছে।  তবে খন্দকার আবদুর রশিদ কোন দেশে অবস্থান করছেন তার সঠিক তথ্য জানা যায়নি।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সে সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।

*  ২২ বছর কলকাতায় ছিলেন মাজেদ




ঢাকা/মাকসুদ/জেডআর

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়