বেসরকারি মেডিক্যালের চিকিৎসকদের পূর্ণ বেতন-বোনাস দিতে রিট

বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকসহ সব কর্মীদের পূর্ণ বেতন ও বোনাস দিতে রিট দায়ের করা হয়েছে।

চিকিৎসক এ এস এম আব্দুন নূরের পক্ষে জনস্বার্থে বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্টে এ রিট দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ মে) রিটকারী আইনজীবী ইয়াদিয়া জামান জানান,   স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক,বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি ও রেজিস্ট্রার, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিট আবেদনে বলা হয়, গত ২ মে প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের এক স্মারকে বলা হয়, করোনাভাইরাস মহামারি চলাকালে বাংলাদেশের সব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল গভীর সংটের সম্মুখীন হয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই সংগঠনের সদস্যভুক্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের শিক্ষক, চিকিৎসক ও কর্মচারীদের উৎসব বোনাস প্রদান করা হবে না। এপ্রিল মাসের বেতন যা মে মাসে প্রদান করার কথা তা সব অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকদের মোট বেতনের ৬০ শতাংশ প্রদান করা হবে। তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির  সকল কর্মচারী তাদের শতভাগ বেতন পাবেন। কলেজ স্টাফ যারা অনুপস্থিত তার ৬০ শতাংশ বেতন পাবেন।

তবে সেখানে বলা হয়, যেসব চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা কাজ করছেন তাদেরকে বেতনের শতভাগ প্রদান করা হবে। পরে ৪ মে সেটা প্রত্যাহার করে নেয়। প্রত্যাহার করা ওই স্মারকে বলা হয়, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের গত ২ মে তারিখে গৃহীত সিদ্ধান্ত মানবিক দিক বিবেচনা করে প্রত্যাহার করা হলো।

আজ আইনজীবী ইয়াদিয়া জামান বলেন, প্রায় ২০ হাজারের মতো চিকিৎসক বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে চাকরি করেন। তাদের যদি যথাযথ বেতন না দেয় তাহলে তারা ডিমোরালাইজড হয়ে যথাযথ চিকিৎসা দিতে সক্ষম হবে না। আমরা তাই ৪ মে তারিখে দেওয়া স্মারক বাস্তবায়ন চেয়ে রিট করেছি।    রিটে হাসপাতাল কর্মীদের পরিপূর্ণ বেতন ও বোনাস দিতে বাধ্য করতে বিবাদীদের প্রতি নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।

তিনি জানান, ৪ তারিখে আগের স্মারক প্রত্যাহার করলেও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর আসে চিকিৎসকদের পরিপূর্ণ বেতন বোনাস দেওয়া হচ্ছে না। তাই রিট করা হয়েছে।


ঢাকা/ মেহেদী/ইভা