তিতুমীর কলেজে সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি দোষারোপ
রাজধানীর তিতুমীর কলেজে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের স্বাস্থ্যকর্মী ও কলেজ কর্মচারীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর সেখানের পরিস্থিতি শান্ত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তবে অধ্যক্ষ আশরাফ হোসেনের ভাষ্য, স্বেচ্ছাসেবী স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রথমে হামলা চালিয়েছে এবং হোস্টেল এবং কর্মচারীদের বাসস্থানে ভাঙচুর করেছে।
করোনার নমুনা সংগ্রহকারী জেকেজি হেলথ কেয়ার নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মী ও তিতুমীর কলেজের কর্মচারীদের মধ্যে মঙ্গলবার রাতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের ২০ জনের মতো আহত হন। জেকেজি হেলথকেয়ারের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে দাবি করা হয়, কলেজ কর্মচারীরা তাদেরকে সেখান থেকে বের করে দেওয়ার জন্য এই হামলা করেছে।
বুধবার (৩ জুন) রাতে তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ আশরাফ হোসেন বলেন, ‘তাদের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে সমঝোতার প্রস্তাব এসেছে। আমরা সেটাতে রাজি হয়েছি। আমরা আসলে কোনরকম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চাইনা।'
তিনি বলেন, ‘আমাদের ৬ জন গুরুতর আহত হয়েছে। এর মধ্যে ৪ জন ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি আছেন, দুজনকে পঙ্গুতে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া আমাদের ৭-৮জন কর্মীরা লাঠিসোটায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। পাশাপাশি আমাদের কর্মচারীরা যেখানে থাকছেন সেগুলোতে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে তারা। আমাদের সিনিয়র সহকর্মীদের সাথে, পুলিশের সাথে এবং তাদের সাথে আমাদের কথা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে শতভাগ নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে যে তাদের সাথে আমাদের কোনো সংঘর্ষের সম্ভাবনা আর নেই।'
জেকেজি হেলথ কেয়ারের আহ্বায়ক ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী বলেন, ‘রাতে কলেজের কর্মচারীরা আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর হামলা চালায়। এতে একজন গুরুতর আহতসহ আমাদের ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের সবাই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ ঘটনার পর অন্যরাও মানসিক ট্রমার মধ্যে রয়েছেন।'
বুধবার (৩ জুন) রাতে বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরে আজম মিয়া বলেন, ‘উভয়পক্ষই এখন যার যার অবস্থানে আছে। পরিস্থিতি শান্ত। তবে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।'
তিনি আরো বলেন, ‘ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি। যদি কেউ অভিযোগ করে অবশ্যই তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
ঢাকা/নূর/ইয়ামিন/মাকসুদ/টিপু
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন