ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ভ্রূণ হত্যার অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:২৮, ৪ জুন ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
ভ্রূণ হত্যার অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

ভ্রূণ হত্যা, নির্যাতন, যৌতুকের অভিযোগ তুলে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নাজমুস সাকিবের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তার স্ত্রী ইশরাত রহমান।

বৃহস্পতিবার (০৪ জুন) রাতে রমনা থানায় এ মামলা (নং-২) দায়ের করা হয় বলে জানান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ জুন) ইমেইলের মাধ্যমে বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান রমনা থানায় অভিযোগটি পাঠান।  তবে সে সময় ইমেইলের মাধ্যমে অভিযোগ মামলা হিসাবে না নেওয়ার কথা জানান ওসি মনিরুল ইসলাম।

পরে ভুক্তভোগী থানায় উপস্থিত হয়ে অভিযোগ করলে সেটি নথিভুক্ত করা হয়।

অভিযোগে ইশরাত রহমান তার স্বামী নাজমুস সাকিব, শ্বশুর সফিউল্লাহ তালুকদার, শাশুড়ি খালেদা সুলতানাকে অভিযুক্ত করেছেন।

পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত এএসপি নাজমুস সাকিব র‌্যাব সদরদপ্তরে কর্মরত আছেন।

অভিযোগে বলা হয়, নাজমুস সাকিবের (৩৪) সঙ্গে ইশরাত রহমানের ২০১৭ সালে মার্চে বিয়ে হয়।  বিয়ের পর থেকে শ্বশুর মো. সফিউল্লাহ তালুকদার (৬০), শাশুড়ি খালেদা সুলতানা (৫২) তাদের যৌতুকলোভী এবং অত্যাচারী মনোভাব প্রকাশ করতে থাকেন।  আসামিরা বিভিন্ন সময় ইশরাতকে তার বাবার কাছ থেকে নগদ টাকা এনে দিতে চাপ দিতে থাকেন।  টাকা না দিলে সব আসামি মিলে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন।  নির্যাতনের ভয়ে তিনি তার বাবার কাছ থেকে প্রায়ই নগদ টাকা এনে আসামিদের দিতেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, ১২ লাখ টাকা যৌতুক দিতে না পারায় আসামিরা ইশরাতের ওপর নির্যাতন চালাতে থাকেন। ওই সময় ইশরাত গর্ভবতী হলে তার ওপর আসামিদের নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। তারা তালাকের ভয় দেখিয়ে ইশরাতকে গর্ভপাত করানোর জন্য চাপ দিতে থাকেন। ইশরাত  রাজি না হলে তার ওপর  নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। এক পর্যায়ে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে ইশরাতের স্বামী নাজমুস সাকিব তালাকের ভয় দেখিয়ে গর্ভপাত করান।

বাদী ইশরাতের অভিযোগে আরও বলেন, ‘নাজমুস সাকিবের সঙ্গে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে আমাদের যেসব ব্যক্তিগত স্থিরচিত্র ও ভিডিও আদান প্রদান হতো,  সেগুলো ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়ে ভাইরাল করার হুমকি দিচ্ছেন তিনি।  আমি ও আমার পরিবার প্রতি মুহূর্তে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, ‘ভিকটিম তার পক্ষে আইনি লড়াই করার জন্য আমাকে অনুরোধ করেন।  ভিক্টিমের বাবা আশঙ্কা করেছেন,  আসামি পুলিশ হওয়ায় ন্যায়বিচার পাবেন কিনা! আমি আশ্বস্ত করেছি, ব্যক্তিগত অপরাধের জন্য আসামি নিজে দায়ী। এখানে পুলিশ ডিপার্টমেন্ট তাকে কোনো রকম অবৈধ সহযোগিতা করবে না বরং ভিকটিমকে ন্যায়বিচার পেতে সহায়তা করবে।’

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে এএসপি নাজমুস সাকিবের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

** পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভ্রূণ হত্যার অভিযোগ


ঢাকা/নূর/জেডআর

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়