রিজেন্টের ৭ কর্মকর্তা-কর্মী রিমান্ড শেষে কারাগারে
করোনার টেস্ট না করেই ‘ভুয়া সনদ’ দেওয়ার মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের ৭ কর্মকর্তা-কর্মীকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) ঢাকা মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী এই আদেশ দেন।
এর আগে, ৫ দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. আলমগীর গাজী।
রিমান্ড শেষে কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন—রিজেন্ট হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আহসান হাবীব হাসান, হেলথ টেকনিশিয়ান আহসান হাবীব, হেলথ টেকনোলজিস্ট হাতিম আলী, রিজেন্ট গ্রুপের প্রকল্প প্রশাসক মো. রাকিবুল হাসান ওরফে সুমন, মানবসম্পদ কর্মকর্তা অমিত বনিক, গাড়িচালক আবদুস সালাম ও হাসপাতালের কর্মী আবদুর রশিদ খান ওরফে জুয়েল।
প্রসঙ্গত, গত ৮ জুলাই এই ৭ আসামির ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ওই দিন কামরুল ইসলাম নামের এক আসামি কিশোর হওয়ায় তাকে গাজীপুর কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়।
এছাড়া, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদের অন্যতম সহযোগী তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক শিবলীর ৫ দিনের রিমান্ড চলছে। গত ১০ জুলাই তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
উল্লেখ্য, করোনার টেস্ট না করে সনদ দেওয়াসহ একাধিক অনিয়মের অভিযোগে গত ৭ জুলাই রাতে উত্তরাপশ্চিম থানায় রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে র্যাব। মামলায় ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামুন/এনই
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন