ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

এফ আর টাওয়ারের মালিক ফারুক গ্রেপ্তার

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৫৮, ১৯ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
এফ আর টাওয়ারের মালিক ফারুক গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক : নকশা জালিয়াতির মামলায় এবার এফ আর টাওয়ারের মালিক এস এম এইচ আই ফারুককে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।  

সোমবার দুপুরে গুলশান এলাকা থেকে দুদকের উপ-পরিচালক আবুবকর সিদ্দিক নেতৃত্বে একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করে। সংস্থার জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এস এম এইচ আই ফারুককে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আদালতে নেয়া হবে।

এর আগে গতকাল এ দুর্নীতি মামলার আসামি কাসেম ড্রাইসেলের এমডি ও কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সভাপতি তাসভীর উল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে দুদক। একই ঘটনায় ৩০ জুলাই রাজউকের সহকারী পরিচালক শাহ মো. সদরুল আলমকেও গ্রেপ্তার করে সংস্থাটি।

নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধভাবে ১৬ থেকে ২৩ তলা ভবন নির্মাণের অভিযোগে এফ আর টাওয়ার মালিক, রাজউকের প্রাক্তন দুই চেয়ারম্যান এবং রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে গত ২৫ জুন পৃথক দুই মামলা দায়ের করে দুদক।

মামলায় ভুয়া ছাড়পত্রের মাধ্যমে এফআর টাওয়ারের ১৯ তলা থেকে ২৩ তলা নির্মাণ, বন্ধক প্রদান ও বিক্রি করার অভিযোগে দণ্ডবিধির সাতটি ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

অপর মামলায় এফআর টাওয়ারের ১৫ তলা অনুমোদন থাকলেও ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ১৯৯৬ লঙ্ঘন করে নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে ১৮ তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণের অভিযোগ আনা হয় হয়। এই মামলায় দণ্ডবিধির চারটি ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন-১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মোট পাঁচজনকে আসামি করা হয়।

দুর্ঘটনার পরপরই বনানীর এফ আর টাওয়ার নকশা অনুমোদনে জমির মালিক এস এম এইচ আই ফারুক হোসেন ও রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল, কাশেম ড্রাইসেল ব্যাটারির মালিক ও এফ আর টাওয়ারের বর্ধিত অংশের মালিক তাসভির উল ইসলাম এবং রাজউকের সংশ্লিষ্ট ইমারত পরিদর্শকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

ফারুক হোসেন ১৯৯৬ সালে তার মালিকানাধীন ১০ কাঠা জায়গায় ১৮ তলা ভবন নির্মাণের জন্য রাজউকে আবেদন করেন। তবে প্রথম ১৫ তলার অনুমোদন পেলেও পরবর্তীতে রাজউকের সংশ্লিষ্টদের যোগসাজশে অবৈধভাবে ১৮ তলা ভবন নির্মাণ করেন। কিন্তু ২০০৫ সালে ১৮ তলার উপর ভবনের মালিক ফারুক হোসেন ও রূপায়ন গ্রুপ সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ২৩ তলা নির্মাণ করেন।

২০০৭ সালে বিষয়টি তদন্ত করে অনুমোদিত নকশায় অতিরিক্ত পাঁচতলা নির্মাণের প্রমাণ পেয়েও কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। রাজউকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ঘুষ নিয়ে অবৈধভাবে নির্মিত অংশ বিক্রির অনুমোদন দিলে কাশেম ড্রাইসেল ব্যাটারির মালিক তাসভির উল ইসলাম ক্রয় করেন।

গত ২৮ মার্চ দুপুরে বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুন লাগে। এতে নিহত হয়েছেন ২৭ জন।

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ আগস্ট ২০১৯/এম এ রহমান/সনি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়