সাবেক ইমারত পরিদর্শক আওরঙ্গজেবের জামিন

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারের নকশা জালিয়াতির মামলায় রাজউকের সাবেক ইমারত পরিদর্শক মো. আওরঙ্গজেব সিদ্দিকী (নান্নু) আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইরুল কায়েশের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি।

এদিন আসামির পক্ষে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ঢাকা বারের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান খান রচি প্রমুখ আইনজীবী জামিন শুনানি করেন। অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল ও মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর আসামির জামিনের বিরোধিতা করেন।

শুনানিতে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা বলেন, এই মামলায় অন্যান্য আসামিরা জামিনে রয়েছে। তাছাড়াও আওরঙ্গজেব এ নথীতে সই করেননি। সহ আসামির স্বার্থে জামিনের প্রার্থনা করছি। জামিন পেলে এ আসামি জামিনের কোনো শর্তভঙ্গ করবেন না।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আওরঙ্গজেব সিদ্দিকীকে ২০ হাজার টাকায় মুচলেকায় ধার্য তারিখ পর্যন্ত জামিনের আদেশ দেন।

চলতি বছরের ১৬ জুলাই উচ্চ আদালত থেকে আওরঙ্গজেব সিদ্দিকী (নান্নু) ৬ সপ্তাহের জামিন পান। এর মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত। সে আদেশ মোতাবেক এ আসামির আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।

নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধভাবে ১৬ থেকে ২৩ তলা ভবন নির্মাণের অভিযোগে এফআর টাওয়ারের মালিক, রাজউকের সাবেক দুই চেয়ারম্যান এবং রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে গত ২৫ জুন পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে দুদক।

মামলায় ভুয়া ছাড়পত্রের মাধ্যমে এফআর টাওয়ারের ১৯ তলা থেকে ২৩ তলা নির্মাণ, বন্ধক প্রদান ও বিক্রির অভিযোগে দণ্ডবিধির সাতটি ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

অপর মামলায় এফআর টাওয়ারের ১৫ তলার অনুমোদন থাকলেও ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ১৯৯৬ লঙ্ঘন করে নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে ১৮ তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণের অভিযোগ আনা হয় হয়। এ মামলায় দণ্ডবিধির চারটি ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন-১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মোট পাঁচজনকে আসামি করা হয়।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯/মামুন খান/সাইফ