ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

দুদকের এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ করে রিট

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:০৯, ১৩ নভেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দুদকের এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ করে রিট

কোনো ব্যক্তির দুর্নীতির বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এজাহার দাখিল এবং ওই এজাহারের ভিত্তিতে তদন্ত করার ক্ষমতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।

বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস ও ব্যারিস্টার নওশীন নাওয়ালের পক্ষে রিট দায়ের করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল কাইউম খান ও মমতাজ পারভীন।

রিট আবেদনে দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা-২০০৭ (সংশোধনী ২০১৯) এর ১(২) (ঘ) (ছ), ৪, ৯(ক), ১০ নম্বর বিধি ও ফরম-২(খ) কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে।

আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিব, দুদকের চেয়ারম্যান ও সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শককে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস সাংবাদিকদের জানান, দুদক বিধিমালার ওই বিধিগুলো সংবিধানের ৩১, ৬৫(১) অনুচ্ছেদ এবং ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৪ ধারার পরিপন্থী।

রিট আবেদনে বলা হয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৪ ধারা অনুযায়ী, যেকোনো ব্যক্তির অভিযোগ থানা রেকর্ড করতে বাধ্য। কিন্তু দুদকের ওই বিধিামালার কারণে এখন আর থানা দুর্নীতির বিষয়ে সরাসরি মামলা রেকর্ড করতে পারে না। কেবল জিডি হিসেবে গ্রহণ করতে পারে। থানা অভিযোগ (জিডি) পাঠিয়ে দেয় দুদকে। এরপর তার ভিত্তিতে অনুসন্ধানের পর দুদক মামলা করে।

রিট আবেদনকারীর দাবি, এই বিধিমালার মাধ্যমে ফৌজদারি কার্যবিধিতে একজন নাগরিককে দেয়া ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের মামলা করার ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হয়েছে।

দুদক নিজেই মামলা করার ক্ষমতার বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা-২০০৭ সংশোধন করে গত ২০ জুন গেজেট জারি করে। এই বিধিমালার ৪ নম্বর বিধিতে বলা হয়েছে, কোনো নাগরিক থানায় অভিযোগ দায়ের করতে পারবে। সংশ্লিষ্ট থানা ওই অভিযোগ পাওয়ার পর তা জিডি হিসেবে গ্রহণ করে দুদকে পাঠিয়ে দেবে। ১০ নম্বর বিধিতে দুদককে তদন্ত করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।


ঢাকা/মেহেদী/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়