ভ্যাট ফাঁকি রোধে অভিযান, ৪৩ মামলা

রাজধানীতে বিভিন্ন ফাস্ট ফুড, ওষুধ, প্রসাধন সামগ্রী, ফার্নিচার ও জুয়েলারির দোকান, ডিপার্টমেন্টাল স্টোরসহ ৪৩টি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর।

সোমবার (১৩ জুলাই) ভ্যাট গোয়েন্দার চারটি দল রাজধানীর গুলশান, ইস্কাটন, বেইলি রোড, নবাবপুর, ওয়ারি, মোহাম্মদপুর ও ধানমন্ডিতে অভিযান চালিয়ে ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে পৃথক ৪৩টি মামলা দায়ের করে।

ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান রাইজিংবিডিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

যেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—নিউ ইস্কাটন রোডের লাজ ফার্মা, বেইলি রোডের মি. বেকার, সুইস বেকারি, বড় মগবাজারের আকিজ মোটরস, নিউ রাজধানী সুপার মার্কেট টিকাটুলির সানন্দ জুয়েলার্স ও খাজা জুয়েলার্স, নবাবপুরের ডায়মন্ড হার্ডওয়্যার, এশিয়ান টুলস ও আলামিন ট্রেডার্স, হাটখোলা রোডের টাঙ্গাইল চমচম ঘর, গুলশান এভিনিউর ফ্রাইডে ফাস্ট ফুড, হাই ফ্যাশন গ্যালারি, সসলিক ফুড লিমিটেড ও সপুরা সিল্ক মিলস লিমিটেড, গুলশান-১ এর মা ইলেক্ট্রনিক্স, গ্রিন রোডের রোজী ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, উত্তর ধানমন্ডির মেডেলিয়ন প্লাস এবং পান্থপথের স্প্রিংওয়েল ফার্মেসি ও ডিপার্টমেন্টাল স্টোর।

ভ্যাট গোয়েন্দা জানায়, ভ্যাট ফাঁকি রোধে ভ্যাট গোয়েন্দা পৃথক চারটি অভিযান চালায়। ৪৩টি প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম পাওয়া যায়।  ভ্যাট আইনের ধারা ১৩ অনুসারে নিবন্ধন সনদ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শনের বিধান রয়েছে। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠানের প্রাঙ্গণে এ সনদ পাওয়া যায়নি। ফলে অনেক ক্ষেত্রে ক্রেতা সাধারণ পণ্য বা সেবা ক্রয়ে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। এর আগে এনবিআরের নির্দেশে ভ্যাট কমিশনারেট থেকে এসব প্রতিষ্ঠানকে এ সনদ ব্যবসাস্থলে ক্রেতাদের দৃষ্টিগোচর করার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। এর আগে মোবাইলে মেসেজ ও পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্কও করা হয়।

ভ্যাট কর্তৃপক্ষের এই অনুরোধ আমলে না নেওয়ায় এবং আইনের বিধান লঙ্ঘনের দায়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভ্যাট আইনের ধারা ৮৫ অনুসারে আইন লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত হলে প্রতিটির ক্ষেত্রে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করার বিধান রয়েছে। ভ্যাট গোয়েন্দা কর্মকর্তারা অভিযান চালানোর পাশাপাশি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বেচ্ছায় ভ্যাট আইন পরিপালনে বিভিন্নভাবে উদ্বুদ্ধ করেন।


ঢাকা/এম এ রহমান/রফিক