ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ: কাজী ফিরোজ রশীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১৫, ১০ আগস্ট ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ: কাজী ফিরোজ রশীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট 

সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের মামলায় জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (১০ আগস্ট) তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র রাইজিংবিডিকে এসব তথ্য জানিয়েছে।

অভিযোগপত্রে রাজধানীর ৯/এ ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ২ নম্বর রোডে এক বিঘা সরকারি জমিসহ বাড়িটি প্লট নম্বর ১০, বাড়ি নম্বর-৬৫ ভুয়া দাতা সাজিয়ে জাল দলিলের মাধ্যমে আত্মসাৎ করার অভিযোগ আনা হয়।

২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় দুদক পরিচালক (সাবেক উপপরিচালক) জুলফিকার আলী বাদি হয়ে মামলা করেন। মামলা করার ৪ বছর পর চার্জশিট দাখিল করা হলো।

তদন্ত প্রতিবেদন সূত্র জানা যায়, ১৯৫১ সালের ৩ নভেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ২ নম্বর রোডে অবস্থিত এক বিঘা আয়তনের সরকারি জমিসহ বাড়ি যা তৎকালীন কানাডার হাইকমিশনার মোহাম্মদ আলীর অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হয়। পরে মরহুম মোহাম্মদ আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী বেগম আলিয়া মোহাম্মদ আলী, ছেলে সৈয়দ মাহমুদ আলী ও মেয়ে সৈয়দা মাহমুদা আলীর নামে হস্তান্তরে অনুমতিসহ ১৯৭০ সালের ৩০ মে মাসে নামজারি করা হয়। 

এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭০ সালের ২২ মে মন্ত্রণালয় থেকে তাদেরকে হস্তান্তরের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু ১৯৭৯ সালের ১৬ আগস্টে সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ রেজিস্ট্রিকৃত ডেড অব এগ্রিমেন্ট ফর সেল নম্বর – ৩১১৫৪ দলিলে ভূয়া দাতা বেগম আলীয়া মোহাম্মদ আলী ও সাক্ষী কাজী আরিফুর রহমান সাজিয়ে ও কাগজপত্রে দেখিয়ে ওই সময়ের তৎকালীন জেলা রেজিস্ট্রার এম আহমেদের সহযোগিতায় উক্ত সম্পত্তি দখল করেন।

দুদক সূত্রে আরও জানা যায়, দুদকের অনুসন্ধানে ওই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। তবে তৎকালীন জেলা রেজিস্ট্রার এম আহমেদের বিরুদ্ধে কোনও তথ্য না পাওয়ায় তাকে এজাহারভুক্ত করা হয়নি। মামলার এজাহারে ঘটনার সময়কাল ধরা হয়েছে ১৯৭৯ সালের ৯ আগস্ট থেকে ওই একই সময়ের ১৬ আগস্ট পর্যন্ত।

অভিযোগ অনুসন্ধানে ২০১৫ সালের ১৩ আগস্ট সংসদ সদস‌্য কাজী ফিরোজ রশীদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিনি  আনীত অভিযোগটি অস্বীকার করেন।

প্রাক্তন মন্ত্রী ও ঢাকা-৬ আসনের এই সংসদ সদস‌্যের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি দখলের অভিযোগ ২০১৬ সালের ৮ মার্চ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। 

ঢাকা/এম এ রহমান/ইভা 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়