ভারতে আত্মগোপনে আছে জেএমবি প্রধান
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
প্রেস ব্রিফিংয়ে সিটিটিসির প্রধান মনিরুল ইসলাম ও অন্যান্য কর্মকর্তা
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, ‘পুরনো জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সন্দেহভাজন প্রধান সালাউদ্দিন সালেহীন ভারতে আত্মগোপনে আছে। পুরনো জেএমবি থেকেই নব্য জেএমবির সৃষ্টি হয়েছে।’
বুধবার (১২ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘জেএমবির সাবেক প্রধান জসীমউদ্দিন রাহমানি গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে মূলত সালাউদ্দিন জেএমবিকে চালাচ্ছে। তবে সে কীভাবে কখন ভারতে গেছে, তা এখনো জানা যায়নি।’
পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিন হামলা করলে বেশি নেকি হয় বলে মনে করে জঙ্গিরা। এ কারণে এ সময়কে তারা হামলা বা নাশকতার জন্য বেছে নেয়। উগ্র মৌলবাদে বিশ্বাসী জঙ্গিরা নব্য জেএমবির হয়ে তৎপরতা চালাচ্ছে। কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছিল সিলেটের শাপলাবাগের বাসা থেকে। সেখানে একটি সেল গড়ে তোলে শেখ সুলতান মো. নাইমুজ্জামান। মঙ্গলবার গ্রেপ্তার হওয়া ৫ জঙ্গির একজন সে। নাইমুজ্জামান শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করছে। তার নেতৃত্বেই নব্য জেএমবি সিলেট থেকে সারা দেশে কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার সিলেটে অপারেশন এলিগ্যান্ট বাইট চালানো হয়। সেখানে বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম ছিল। মূলত এখান থেকে জঙ্গিরা ২৩ ও ২৪ জুলাই হজরত শাহজালাল ও শাহ পরানের মাজারে হামলার পরিকল্পনা করেছিল। ওই পরিকল্পনায় গ্রেপ্তারকৃত ৫ জন ছাড়াও আরো কয়েকজন জড়িত। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। মাজারে হামলা করতে না পেরে রাজধানীর গুলিস্তানে একটি বোমা রেখে যায় জঙ্গিরা।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিটিটিসির প্রধান বলেন, ‘তারা এখন নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার চেষ্টা করছে। এজন্য তারা করোনাকালে অনলাইনে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছে। বিভিন্ন সাইটে তারা উগ্র মৌলবাদী প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছে। যা ঘরে থাকা মানুষ বেশি ফলো করেছে। ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ হয়েছে জঙ্গিরা। তবে আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি। জঙ্গিদের তেমন কিছু করার সুযোগ নেই। ২০০৪ সালে যে গ্রেনেড হামলা হয়েছিল, তা মূলত রাজনীতিক কারণেই হয়েছে। ১৭ আগস্ট জেএমবি হামলা করেছিল অস্তিত্ব জানান দেওয়ার জন্যই। এ কারণে ওই হামলায় তেমন হাতাহতের ঘটনা ঘটেনি।’
ঢাকা/মাকসুদ/রফিক
আরো পড়ুন