ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

কোনো দুর্নীতি করিনি: স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৪৭, ১২ আগস্ট ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
কোনো দুর্নীতি করিনি: স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি

দুদকে হাজির হন ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, দায়িত্বপালনের সময় কোনো দুর্নীতি করিনি।  আমি সৎ, দক্ষ, সজ্জন ও মেধাবী লোক হিসাবে কাজ করে গেছি।

মাস্ক-পিপিই কেলেঙ্কারির বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগে বুধবার (১২ আগস্ট) দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে একটি টিম ডা. মোহাম্মদ আবুল কালামকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, আমি দায়িত্বপালনের সময় কোনো দুর্নীতি করিনি।  আমি সৎ, দক্ষ, সজ্জন ও মেধাবী হিসাবে কাজ করেছি।  করোনার সময় মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছি।  আমার করোনা পজেটিভ হওয়া সত্ত্বেও সুস্থ হয়ে আবার কাজে যোগ দেই।  সবসময় দেশের স্বার্থে কাজ করে গেছি।

তিনি বলেন, সম্প্রতি সময়ে কিছু কিছু জায়গা থেকে আমার বিরুদ্ধে অপ-তৎপরতা শুরু হয়।  সেজন্য আমি আমি পদ আঁকড়ে না থেকে দেশের স্বার্থে পদত্যাগ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি।  আমি চাই অনিয়মের বিচার হোক।  আমাকে ডাকা হয়েছিল।  মাস্ক ও পিপিই দুর্নীতির বিষয়ে ডিজি হিসাবে দুদকের কাছে বক্তব্য দিয়েছি।

গত ৬ আগস্ট অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদকে দুদক থেকে তলবি নোটিশে দেওয়া হয়েছিল।  বিশেষ বাহক মারফত পাঠানো ওই নোটিশ তার বানানীর ৫ নম্বর রোডের বাসায় পাঠানো হয়।

মাস্ক-পিপিই ক্রয় দুর্নীতির অনুসন্ধানে এর আগে জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ওষুধাগারের (সিএমএসডি) ছয় কর্মকর্তাসহ ডজনখানেক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।  যদিও অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজির হননি এলান করপোরেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম আমিন ও মো. মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু। 

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং সিএমএসডির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম ক্রয়সহ বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে গত ১০ জুন শুরু করে দুদক। 

অভিযোগ রয়েছে, সিএমএসডির ৯০০ কোটি টাকার কেনাকাটায় দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) রিজেন্ট হাসপাতাল দুর্নীতিতে আরও একটি অনুসন্ধানে জিজ্ঞাসাবাদ হওয়ার কথা রয়েছে।

ঢাকা/ এম এ রহমান/জেডআর

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়