ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় আরও দুজনের সাক্ষ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১৫, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৬:৩৩, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় আরও দুজনের সাক্ষ্য

রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলায় মজনুর বিরুদ্ধে আরও দুজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক বেগম মোসা. কামরুন্নাহারেরর আদালতে তারা জবানবন্দি দেন।

সাক্ষীরা হলেন, মো. খায়রুল ও অরুনা। একমাত্র আসামি এ দুজনের একজনের কাছে ধর্ষিতা ছাত্রীর মোবাইল বিক্রি করেন মজনু, আরেকজন কাছ থেকে ওই মোবাইল উদ্ধার করা হয়।  

এরপর মজনুর পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী রবিউল ইসলাম রবি তাদের জেরা করেন। তাদের জেরা শেষে আদালত আগামি ৫ অক্টোবর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আফরোজা ফারহানা আহমেদ (অরেঞ্জ) বলেন, খায়রুলের কাছ থেকে ভিকটিমের মোবাইল ও পাওয়ার ব্যাংক উদ্ধার করা হয়। আর অরুনার কাছে মজনু ভিকটিমের মোবাইলটি বিক্রি করেন। এ সম্পর্কে তারা সাক্ষ্য দিয়েছেন।’

সাক্ষ্য নেওয়ার সময় মজনুকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত আগামি ৫ অক্টোবর সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন। এনিয়ে মামলাটিতে ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৮ জনের সাক্ষ্য নেওয়া শেষ হলো।

গত ৫ জানুয়ারি কুর্মিটোলায় ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন মজনু। ওই ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। গত ৮ জানুয়ারি ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন শেওড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে র‌্যাব মজনুকে গ্রেপ্তার করে। ৯ জানুয়ারি আদালত মজনুর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ১৬ জানুয়ারি মজনু দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। এখন তিনি কারাগারে রয়েছেন। গত ১৬ মার্চ মজনুকে একমাত্র আসামি করে ঢাকা সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবু সিদ্দিক। ওই দিনই আদালত মামলাটি পরবর্তী বিচারের জন্য নারী ও শিশু দমন ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন। গত ১৬ আগস্ট একই আদালত মজনুর বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত। গত ২৬ আগস্ট মজনুর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়।

ঢাকা/মামুন/সাজেদ 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়