ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

স্বাস্থ্যের দুর্নীতি বন্ধে দুদকের সুপারিশের অগ্রগতি জানাতে নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:২৩, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৮:২৩, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০
স্বাস্থ্যের দুর্নীতি বন্ধে দুদকের সুপারিশের অগ্রগতি জানাতে নির্দেশ

স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি বন্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ২৫ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী দুই মাসের মধ্যে বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। 

একইসঙ্গে স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি বন্ধে দুদকের ২৫ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল ও অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।

এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি বন্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের ২৫ দফা সুপারিশ বাস্তবায়ন নিয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান ও আইনজীবী আমিনুর রহমান চৌধুরীর পক্ষে অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল এ রিট দায়ের করেন।

রিটে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে দুর্নীতির ১১টি খাত চিহ্নিত করে, তা প্রতিহতের জন্য মন্ত্রণালয়ে ২৫ দফা সুপারিশ করে দুদক। প্রতিবেদনে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিভিন্ন ক্রয়, নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি, পদায়ন, চিকিৎসা দেওয়া, চিকিৎসায় ব্যবহৃত ইকুপমেন্ট ব্যবহার, ওষুধ সরবরাহসহ বিভিন্ন দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করা হয়।

এসব উৎস বন্ধে দুদকের করা সুপারিশের মধ্যে রয়েছে- তথ্যবহুল সিটিজেন চার্টার প্রদর্শন, মালামাল রিসিভ কমিটিতে বিশেষজ্ঞ সংস্থার সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত, ওষুধ ও যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে ইজিপি টেন্ডার প্রক্রিয়া অনুসরণ, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও বেসরকারি হাসপাতাল স্থাপন ও অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে নিজস্ব স্থায়ী চিকিৎসক বা কর্মচারী ও কার্যনির্বাহী কমিটি ইত্যাদি রয়েছে কি-না এসব বিষয় নিশ্চিত হওয়া, কর্মকর্তা-কর্মচারী বদলির নীতিমালা প্রণয়ন, চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে ওষুধের নাম না লিখে জেনেরিক নাম লেখা বাধ্যতামূলক করা; ইন্টার্নশিপ এক বছর থেকে বাড়িয়ে দুই বছর করা এবং বর্ধিত এক বছর উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে থাকা বাধ্যতামূলক করা, চিকিৎসকদের (সরকারি/বেসরকারি) পদোন্নতির জন্য সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে পিএসসি এবং বেসরকারিদের ক্ষেত্রে মহাপরিচালক (স্বাস্থ্য) এবং পিএসসির প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত কমিটির মাধ্যমে সুপারিশ দেওয়া যেতে পারে।

ঢাকা/মেহেদী/জেডআর

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়