ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

কয়েক ধাপে বিক্রি হয় জাল নোট

মাকসুদুর রহমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৩৮, ৭ অক্টোবর ২০২০   আপডেট: ০৮:৩৪, ৭ অক্টোবর ২০২০
কয়েক ধাপে বিক্রি হয় জাল নোট

রাজধানীর ডেমরায় জাল নোট তৈরি করে তা ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল এক প্রতারক চক্রের। তারা জাল নোট তৈরি করে কয়েক ধাপে তা বিক্রি করত। গোয়েন্দারা জানতে পারায়, পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে তাদের।

গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে, ২৮ সেপ্টেম্বর ডেমরার একটি বাসায় অভিযান চালানো হয়। সে সময় সেখান থেকে ৬৫ লাখ টাকার জাল নোট, ল্যাপটপ, দুটি প্রিন্টার, ৪ বান্ডিল জাল নোট তৈরির কাগজ, ১০ পাতা নিরাপত্তা সুতা ও দুটি জাল নোট তৈরির ডাইস উদ্ধার করা হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে বলেছেন, ‘জাল টাকার কারবারিদের ধরতে পুলিশের একাধিক ইউনিট কাজ করছে।’

ডেমরা গ্রেপ্তার করা জাল নোট চক্রের চার সদস‌্য জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে, বড় উৎসবকে (ঈদ-দুর্গা পূজা) টার্গেট করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সহযোগীদের মাধ্যমে জাল নোট সরবরাহ করা হয়। ১ লাখ টাকার জাল নোট তৈরি করতে খরচ হয় প্রায় ১০ হাজার টাকা। পাইকারি বিক্রেতাদের কাছে ১ লাখ টাকার জাল নোট বিক্রি করা হয় ১৪-১৫ হাজার টাকায়। পরে পাইকারি বিক্রেতা এসব নোট ধাপের প্রথম খুচরা বিক্রেতার কাছে বিক্রি করে ২০-২৫ হাজার টাকায়। প্রথম খুচরা বিক্রেতা দ্বিতীয় ধাপের খুচরা বিক্রেতার কাছে তা বিক্রি করে ৪০-৫০ হাজার টাকায়। আবার দ্বিতীয় ধাপের খুচরা বিক্রেতা মাঠ পর্যায়ে সেই টাকা সমমূল্যে অর্থাৎ আসল ১ লাখ টাকায় বিক্রি করে। মাঠ পর্যায়ে কর্মীরা বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনার মাধ্যমে এই জাল নোট বাজারে ছড়িয়ে থাকে।

গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে প্রায় ৩০টি গ্রুপ জাল নোট তৈরি করে। এসব নোট মহল্লার বাজার, নামি শপিং মলে ছড়িয়ে পড়ছে। এমনকি এটিএম বুথেও জাল নোট পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশি কারবারিদের সঙ্গে ভারতের জাল রুপির কারবারিদেরও যোগাযোগ আছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে র‌্যাবের এক কর্মকর্তা রাইজিংবিডিকে বলেছেন, ‘প্রতারকরা জাল নোটের দাম বাড়িয়েছে। আগে ১ লাখ টাকার জাল নোট ৭ থেকে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা ৩০-৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করছে। এটিএম বুথেও জাল টাকা মিলছে। এ বিষয়ে জনগণকে সচেতন থাকতে হবে।’

পুলিশের এক হিসাবে দেখা গেছে, বিভিন্ন সময়ে জাল নোট সংক্রান্ত প্রায় সাড়ে ৮ হাজার মামলা হয়েছে। বেশিরভাগ মামলা তদন্তাধীন আছে।

ঢাকা/মাকসুদ/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়