ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

৩২ বছর ধরে ঝুলে থাকা মামলা তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫২, ৭ অক্টোবর ২০২০   আপডেট: ১৪:০১, ৭ অক্টোবর ২০২০
৩২ বছর ধরে ঝুলে থাকা মামলা তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ

৩২ বছর ধরে ঝুলে থাকা সীমা হত্যার বিচার তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। যে সাক্ষীর জন্য মামলাটি আটকে আছে সে না আসলেও মামলার অন্যান্য ডকুমেন্টে দেখে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে বলেছেন আদালত।

বুধবার (৭ অক্টোবর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন। 

এর আগে বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান। তার সঙ্গে ছিলেন জামিউল হক ফয়সাল। পরে আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, এ মামলায় একজন সাক্ষী না আসায় ৩২ বছর ধরে মামলাটি ঝুলে আছে। এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। বিষয়টি আদালতের নজরে আনার পর আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে আদেশ দেন। তিন মাসের মধ্যে মামলাটি বিচারিক আদালতকে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি না করলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুরোন ঢাকার জগন্নাথ সাহা রোডে ১৯৮৮ সালের ২৬ এপ্রিল খুন হন সীমা মোহাম্মদী (২০)। বাড়িতে ঢুকে ছুরিকাঘাত করে সীমাকে হত্যা করে মোহাম্মদ আহমদ ওরফে আমিন নামে এক যুবক। এরপরই ওই যুবকের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় হত্যা মামলা করে সীমার মা ইজহার মোহাম্মদী। মামলার তদন্তে উঠে আসে সীমাকে বিয়ে করতে না পেরে সে তাকে হত্যা করে।

আসামি পলাতক থাকায় ১৯৯৯ সালের ২২ জুন তাকে হাজিরের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়। এরপর ২০০১ সালে ২৯ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের পরও সাক্ষ্য দিতে তদন্তকারি পুলিশ কর্মকর্তা ও ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের অনীহার কারণে মামলার বিচার কাজ বার বার পিছিয়ে যায়। ঢাকা মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের তৎকালীন প্রভাষক আনোয়ার হোসেন সাক্ষ্য দিতে আজও পর্যন্ত আদালতে হাজির হননি। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলেও তিনি আসেননি। মামলাটি বর্তমানে ঢাকার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।

মেহেদী/সাইফ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়