ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

নুরসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তারে ফের আবেদন

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৪৯, ৭ অক্টোবর ২০২০  
নুরসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তারে ফের আবেদন

ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর (ফাইল ফটো)

ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে করা মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করতে ফের আবেদন করেছেন ঢাবির সেই ছাত্রী।

বুধবার (৭ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মাহমুদা আক্তারের আদালতে আবেদন করেন তিনি। আদালত আবেদনটি নথিভুক্ত করেছেন।

পরে আদালত পাড়ায় ভিকটিমের সঙ্গে রাইজিংবিডির এ প্রতিবেদকের কথা হয়। এ সময় ওই ছাত্রী হুমকি দেন, আসামিরা গ্রেপ্তার না হলে তিনি আত্মহত্যা করবেন।

ভিকটিম বলেন, ‘লালবাগ ও কোতয়ালী থানায় ২১ ও ২২ সেপ্টেম্বর দুটি মামলা দায়ের করি। স্বাভাবিকভাবে এ ধরনের মামলা দায়েরের পরপরই আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। দুই মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা একই। দুই থানাই আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারছে না। এ বিষয়ে একাধিকবার থানায় যোগাযোগ করেছি। থানা বলছে, আমরা চেষ্টা করছি। আসামিরা এতটাই টেকনিক্যাল বিষয়ে এক্সপার্ট যে কোনোভাবে তাদের লোকেশন ট্র্যাক করতে পারছি না।’

তিনি বলেন, ‘অনেকদিন হয়ে গেলো, আসামি গ্রেপ্তার হলো না। তারপর আমি আদালতের শরণাপন্ন হলাম। আদালতে আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আবেদন করেছি। লালবাগ থানায় করা মামলায় আজ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সেটা হয়নি। আগামী ২৭ অক্টোবর প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। আজ আবার আসামিদের গ্রেপ্তার এবং দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আবেদন করেছি।’

ভিকটিম আরও বলেন, ‘আমি ন্যায়বিচার কতটুকু পাবো, সেটা এখন প্রশ্নবিদ্ধ। বাংলাদেশে একটা ট্রেন্ড চালু আছে, মৃত্যুর পর সবারই টনক নড়ে। তারপর বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়, ব্যানার, ফেস্টুন, মানববন্ধন হয়। আমি নিজে প্রকাশ‌্যে এসেছি, কথা বলেছি। তারপরও সাড়া পাইনি। কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। অবস্থা যদি এরকম চলতে থাকে, তাহলে আমিও সেই পথটাই বেছে নেবো, যে পথ অনেকে বেছে নিয়েছে। আমি মনে করি, আমার এ সাহসিকতা, ন্যায়বিচার চাওয়ার অপরাধে আমার দণ্ড হওয়া উচিত। সে জায়গা থেকে আমার মৃত্যুটাই ভালো। সেদিকেই হাঁটবো। মৃত্যুর পর যদি বিচার হয়, তাহলে তা-ই হোক।’

গত ৪ অক্টোবর ভিপি নুরসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তারের জন‌্য আবেদন করেন মামলার বাদী। আদালত সেদিনও আবেদনটি নথিভুক্ত করার আদেশ দেন।

২১ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী লালবাগ থানায় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন। এজাহারে ধর্ষণে সহযোগিতাকারী হিসেবে নুরুল হক নুরের নাম উল্লেখ করা হয়। অপর আসামিরা হলেন—একই সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ ও মো. সাইফুল ইসলাম, সভাপতি নাজমুল হুদা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহিল বাকি। ২২ সেপ্টেম্বর কোতয়ালী থানায় একই অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন ওই শিক্ষার্থী।

ঢাকা/মামুন/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়