অবৈধ সম্পদ: স্বাস্থ্যের ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে তলব
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (০৮ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. শামছুল আলমের সই করা পৃথক নোটিশে তাদের আগামী ১৩, ১৪ ও ১৫ অক্টোবর হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
তলব করাদের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী প্রোগ্রামার মো. রুহুল আমিন, প্রধান সহকারী জাহাঙ্গীর হাসেন হাওলাদার, মো. শাহজাহান ফকির এবং আবু সোহেলকে ১৩ অক্টোবর হাজির হতে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী আনোয়ার হোসেন, উচ্চমান সহকারী মো. শাহনেওয়াজ, উচ্চমান সহকারী শরিফুল ইসলাম, অফিস সহকারী মো. হানিফ ও মাসুদ করিমকে ১৪ অক্টোবর এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অফিস সহকারী মো. আলাউদ্দিন, অফিস সহকারী মো. ইকবাল হোসেন এবং কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের স্টোর কিপার সাফায়েত হোসেন ফয়েজকে ১৫ অক্টোবর হাজির হতে বলা হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিপ্তরের সিন্ডিকেট করে শত কোটি টাকা আত্মসাতের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৭৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর অবৈধ সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধান ও তদন্ত করছে দুদক। ২০১৯ সাল থেকে তাদের অবৈধ সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধান করছে দুদক। এরইমধ্যে ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
এছাড়া আলোচিত গাড়িচালক মালেকসহ স্বাস্থ্য ১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর অঢেল সম্পদের খোঁজ পাওয়ায় গত ১৬ সেপ্টেম্বর সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দেয় সংস্থাটি।
এ বিষয়ে দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একদল কর্মকর্তা-কর্মচারী সিন্ডিকেট করে দুর্নীতি করছে, এমন অভিযোগের বিষয়ে ২০১৯ সাল থেকে আমরা একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করি। এরমধ্যে মালেকসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান ও তদন্ত চলছে। তাদের মধ্যে ১২ জনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা হয়েছে।’
এম এ রহমান/সাইফ
আরো পড়ুন