ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

আবরারের মৃত্যুর বিষয়ে আদালতে যা বললেন বুয়েটের চিকিৎসক

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৪০, ১১ অক্টোবর ২০২০  
আবরারের মৃত্যুর বিষয়ে আদালতে যা বললেন বুয়েটের চিকিৎসক

আবরার ফাহাদ রাব্বী (ফাইল ফটো)

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বীকে মৃত ঘোষণাকারী চিকিৎসক ডা. মো. মাসুক এলাহীর সাক্ষ্য নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

রোববার (১১ অক্টোবর) ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে জবানবন্দি দেন বুয়েটের চিকিৎসক ডা. মো. মাসুক এলাহী। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন।

ডা. মো. মাসুক এলাহী আদালতে বলেন, ‘২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোর ৮টা থেকে ৭ অক্টোবর ভোর ৮টা পর্যন্ত বুয়েটের মেডিক‌্যাল সেন্টারের ইমারজেন্সি বিভাগে দায়িত্ব পালন করছিলাম। ৬ অক্টোবর রাত ২টা ৪৭ মিনিটে আমার কাছে একজন ছাত্র পরিচয়ে ফোন করে বলে, একজন ছাত্র অসুস্থ, শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, দ্রুত শেরেবাংলা হলে আসুন। আমি অ‌্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার কালামকে সঙ্গে নিয়ে ১০ মিনিটের মধ্যে ওই হলের সামনে যাই। সেখানে যাওয়ার পর ১০-১৫ জন ছাত্র অ‌্যাম্বুলেন্স ঘিরে ধরে অক্সিজেন সিলিন্ডার ও স্ট্রেচার আনতে বলে। আমি বলি, আগে রোগী দেখি, এরপর যা করণীয় তা করব। ছাত্ররা আমাকে উত্তর ব্লকের সিঁড়ির কাছে নিয়ে যায়। একতলা ও দোতলার মাঝামাঝি সিঁড়িতে ট্রাউজার ও ফুল হাতা শার্ট পরিহিত আবরারকে তোষকের ওপর শোয়ানো অবস্থায় দেখতে পাই। তোষক ও ট্রাউজার প্রস্রাবে ভেজা ছিল। আমি পরীক্ষা থেকে তাকে মৃত ঘোষণা করি।’

তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে আমার পাশে দাঁড়ানো ১০-১৫ জন ছাত্র দ্রুত চলে যায়। কিছুক্ষণ পর রাসেল নামের এক ছাত্র আসে। সে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সেক্রেটারি হিসেবে পরিচয় দেয়। সে বলে, আবরার মারা যায়নি। সে ঘুমাচ্ছে। কিছুক্ষণ আগেও আমরা তার (আবরার) সঙ্গে কথা বলেছি। আপনি ওকে বুয়েট মেডিক্যালে বা ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে যান। আমি বলি, নিয়ে লাভ নেই, সে মারা গেছে। এরপর আমি বুয়েটের প্রভোস্ট ড. জাফর ইকবাল স্যারকে ফোন দিয়ে ঘটনা জানাই। তিনিসহ ডিএসডব্লিউ স্যার ও সহকারী প্রভোস্ট স্যার আসেন। এরপর বুয়েটের সিকিউরিটি অফিসার আজাদ এসে পুলিশকে ফোন দেন। ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে পুলিশ এসে সুরতাল রিপোর্ট তৈরি করে আমার স্বাক্ষর নেয়। বুয়েটের যে অ‌্যাম্বুলেন্স ও স্ট্রেচারে আবরারের লাশ ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয় সেই অ‌্যাস্বুলেন্স ও স্ট্রেচার জব্দ করে পুলিশ। সেই জব্দ তালিকায় আমি স্বাক্ষর করি।’

আবরার হত‌্যা মামলায় তার বাবা বরকত উল্লাহসহ পাঁচজনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।

ঢাকা/মামুন/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়