ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

সোনা চোরাচালানের মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানের জামিন

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:০৩, ১৫ অক্টোবর ২০২০  
সোনা চোরাচালানের মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানের জামিন

৭ কেজি ৩০০ গ্রাম সোনা চোরাচালানের মামলায় জামিন পেয়েছেন নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার হাইজ্যাদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন ভুঁইয়া।

বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন আলী হোসেন। শুনানি শেষে আদালত জামিনের আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউর তাপস কুমার পাল বলেন, ‘চেয়ারম্যান আলী হোসেনের নাম এজাহারে ছিল না। এক আসামির স্বীকারোক্তিতে তার নাম আসে। সে অনুয়ায়ী মামলার প্রথম চার্জশিটে তার নাম দেওয়া হয়। প্রথম চার্জশিটের পর আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তে পাঠায়। তদন্তে আলী হোসেনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেছেন।‘ 

এর আগে একই আদালত গত ১৫ সেপ্টেম্বর চেয়ারম্যান আলী হোসেনসহ পলাতক নয়জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২০১৪ সালের ২২ আগস্ট মালেশিয়ার কুয়ালামপুর থেকে আসা বিজি-৮৭ ফ্লাইটের যাত্রী মোহাম্মাদ আল আমীনের (২৫) কাঁধে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে সোনার বার জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা। তিনি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানার বড় আলমদি গ্রামের বাসাদ মিয়ার ছেলে। এছাড়া, তার কাছ থেকে ২৬টি পাসপোর্টও জব্দ করা হয়। ওই ঘটনায় সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মাহফুজুর রহমান সোনা চোরাচালানের অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মোহাম্মাদ আল আমিন ওই বছরের ২৬ আগস্ট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে তিনি জানান, তার সঙ্গে জামান, সোহেল, সেলিম ও রমজান নামের চার ব‌্যক্তি সোনা চোরাচালানে জড়িত। ওই স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মচারী মো. ইয়াছিন মিয়া ওরফে সেলিমকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে। তিনি একই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ওই জবানবন্দিতে তিনি আল আমিন, মো. জসিম উদ্দিন, মো. ইব্রাহিম, মো. নূর-ই আলম ওরফে আলম, মো. গোলাম রসুল, মো. ইলয়াস, মো. মোজাম্মেল, আলী হোসেন চেয়ারম্যান, সাঈদ, শহিদুল ইসলাম বাবু, শংকর সরকার, শহীদ ও জাকিরের নাম প্রকাশ করেন।

মামলাটি তদন্তের পর ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ‌্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগ হিউম্যান ট্রাফিকিং অ‌্যান্ড স্মাগলিং টিমের পুলিশ পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান ২০১৬ সালের ২১ জুলাই ঢাকা সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন, আল আমিন, জসিম উদ্দিন, নূর-ই আলম, শংকর সরকার, শহিদুল ইসলাম বাবু, ইয়াছিন ওরফে সেলিম ও ইব্রাহিম শেখকে অভিযুক্ত করেন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন ও ইব্রাহিম শেখকে পলাতক এবং অপর আসামিদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

চার্জশিটে আসামিদের মধ্যে আল আমিন, ইয়াছিন ওরফে সেলিম ও শংকর সরকারের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ছিল। সেখানে ১৬ জন আসামির নাম প্রকাশ পেলেও ৮ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করায় ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ আদালত ২০১৭ সালের ৯ মার্চ সিআইডির কাছে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পাঠান। ওই বছরের ৩০ মার্চ থেকে সিআইডি অধিকতর তদন্ত শুরু করে। চলতি বছরের ৭ জুলাই সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. জহিরুল ইসলাম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। সেখানেও চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন আসামির তালিকায় আছেন।

ঢাকা/মামুন/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়