ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ডেপুটি জেলারকে সতর্ক করে ক্ষমা করলেন হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫৯, ১৯ অক্টোবর ২০২০  
ডেপুটি জেলারকে সতর্ক করে ক্ষমা করলেন হাইকোর্ট

ওকালতনামায় স্বাক্ষর ছাড়া জামিন নিয়ে আসামি কারাগার থেকে বের হয়ে যাওয়ার ঘটনায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার খন্দকার আল মামুনকে সতর্ক করে ক্ষমা করেছেন হাইকোর্ট। 

একইসঙ্গে কারাগারে থাকা আসামিদের ওকালতনামায় স্বাক্ষরকারী জেলার/ডেপুটি জেলারকে পূর্ণাঙ্গ নাম লিখতে বলা হয়েছে। এজন্য একটি রেজিস্ট্রার খাতা মেনটেইন করতে হবে। এছাড়া আসামি মিজানুর রহমান কনকের জামিন বাতিল করে তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলেছেন আদালত।

সোমবার (১৯ অক্টোবর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশিদ আলম খান। ডেপুটি জেলারের পক্ষে ছিলেন মো. আলী আজম। 

এর আগে রোববার (১৮ অক্টোবর) ওকালতনামায় স্বাক্ষর ছাড়া জামিন নিয়ে আসামি কারাগার থেকে বের হয়ে যাওয়ার ঘটনায় নিশর্ত ক্ষমা চান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার খন্দকার আল মামুন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, এনআরবি ব্যাংকের ১১ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে জিওলোজাইজ সার্ভেয়ার করপোরেশনের প্রোপাইটর অ্যান্ড চিফ সার্ভেয়ার মিজানুর রহমান কনকের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। এ মামলায় গত ১৫ জুন হাইকোর্ট থেকে জামিন পান তিনি। তবে সে সময় করোনার কারণে এফিডেফিট শাখা বন্ধ থাকায় আদালত বলেছিলেন নিয়মিত আদালত চালু হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে এফিডেফিট করে দাখিল করতে। পরে নিয়মিত আদালত চালু হলে এফিডেফিট করতে গিয়ে দেখে তার একটি মামলার ওকালতনামায় জেলারের স্বাক্ষর নেই। বিষয়টি তখন আদালতের নজরে আনা হয়। আদালত ওকালতনামায় স্বাক্ষর নিয়ে পরবর্তী দিনে এফিডেফিট আদালতে দাখিল করতে বলেন। এরপর আসামিপক্ষ ডেপুটি জেলারের স্বাক্ষর সম্বলিত ডকুমেন্ট দাখিল করে। বিষয়টি দেখে আদালতের খটকা লাগে, আসামি জামিন নিয়ে বাইরে থেকে ডেপুটি জেলারের স্বাক্ষর কিভাবে পেলো। তখন আদালত ডেপুটি জেলার খন্দকার মো. আল মামুনকে তলব করে ১১ অক্টোবর হাজিরের আদেশ দেন।

রোববার তিনি হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে তার ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। আদালতকে তার আইনজীবী জানান, কারাগারে একসঙ্গে তিন থেকে চারশ ওকালতনামায় স্বাক্ষর করতে হয়। তখন বিষয়টি দেখে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি বিধায় এ ভুল হয়েছে।

ঢাকা/মেহেদী/জেডআর

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়