ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

দুই মামলায় জামিন পেলেন রাশেদ চিশতী

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:১২, ১৯ অক্টোবর ২০২০  
দুই মামলায় জামিন পেলেন রাশেদ চিশতী

মানি লন্ডারিং আইনের দুই মামলায় ফারমার্স ব্যাংক (পদ্মা ব্যাংক) কেলেঙ্কারি ও পদ্মা ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীর ছেলে রাশেদুল হক চিশতীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (১৯ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে রাশেদুল হক চিশতীর পক্ষে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। দুদকের পক্ষ থেকে জামিনের বিরোধীতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের আদেশ দেন।

গত ৬ সেপ্টেম্বর একই আদালতে রাশেদুল হক চিশতীর জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী। আদালত জামিন শুনানির জন্য ১৯ অক্টোবর দিন ধার্য করে দেন।

কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. শাহজাহান মিরাজ চলতি বছরের জুলাই মাসে বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন।

গত ২১ জুলাই করা প্রথম মামলায় প্রায় ৬৩ কোটি টাকা আত্মসাত ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন, ব্যাংকটির সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মতিঝিল শাখা প্রধান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম মজুমদার, বগুড়ার আল-ফারুক ব্যাগস লিমিটেডের চেয়ারম্যান চৌধুরী আল ফারুক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেদওয়ানুল কবির চৌধুরী, তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক নিম্মি কবির চৌধুরী।

এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ঋণের নামে পদ্মা ব্যাংকের মতিঝিল শাখা থেকে ৪০ কোটি ৭৯ লাখ ২১ টাকা নিয়েছিলেন। যা ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সুদ ও আসলে ৬২ কোটি ৯৬ লাখ ৭৫ হাজার ৬১৯ টাকা হয়। আসামিরা এই অর্থ পরিশোধ না আত্মসাৎ ও পাচারের করেন।

অপর মামলাটি হয় একই বছরের ২৭ জুলাই। এই মামলায় স্বাস্থ্য খাতের প্রতারক রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদও আসামি। মামলার অপর দুই আসামি হলেন, রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইব্রাহিম খলিল, পদ্মা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী বা অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ওই ব‌্যাংকের গুলশান করপোরেট শাখা থেকে ২ কোটি টাকা নেন। সাহেদের ১ কোটি টাকার একটি এফডিআর থাকায় তা সমন্বয় করার পর ২০২০ সালের ১৫ জুলাই পর্যন্ত সুদসহ তার খেলাপি অর্থের পরিমান দাঁড়ায় ২ কোটি ৭১ লাখ টাকা। এই অর্থ পরিশোধ না করে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ ও পাচার করেন।

ঢাকা/মামুন/ইভা 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়