ডাক্তার সেজে জামাই-শ্বশুরের প্রতারণা
খিলগাঁওয়ে দাঁতের চিকিৎসার নামে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে জামাই-শশুর। প্রতারণার দায়ে শশুর নূর হোসেন ও জামাই জাহিদুল ইসলামকে ২ বছর করে সাজা দিয়েছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবারের (১৯ অক্টোবর) অভিযানে পঞ্চগড় ডেন্টাল কেয়ার সিলগালা করে দেওয়া হয়।
সোমবার রাতে র্যাব-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু রাইজিংবিডিকে বলেন, দুপুরের পর তিলপাপাড়ার ওই ডেন্টাল কেয়ারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখানে শ্বশুর ও জামাই নিজেদের ডাক্তার সাজিয়ে প্রতারণা করে আসছিল। বেশকিছু ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। একই সঙ্গে ডেন্টাল কেয়ার সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, নূর হোসেন তৃতীয় শ্রেণি ও জাহিদুল ইসলাম দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। কিন্তু তারা নিজেদের ডাক্তার সাজিয়ে এই ডেন্টাল কেয়ারে অসহায় রোগীদের এনে রুট ক্যানেল, ক্যাপ পরানো থেকে গুরুত্বপূর্ণ দাঁতের সমস্যার সমাধান করে আসছিল। যা সাধারণ মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছিলো।
একটি রুট ক্যানেল করতে তারা ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছে। কোন রোগী দেখলে সে ক্ষেত্রে তিন থেকে ৪শ’ টাকা ভিজিট নেওয়া হতো। তারা নিজেদের এমবিবিএস ও ডেন্টাল বিশেষজ্ঞ পরিচয়ে একটি মধ্যস্বত্ব প্রতারক শ্রেণি তৈরি করে। যারা ধরে ধরে অসহায় সাধারণ মানুষদের এখানে এনে দাঁতের চিকিৎসার নামে হয়রানি এবং প্রতারণার মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
র্যাব সূত্রে থেকে জানা গেছে, তিলপাপাড়ার এই ডেন্টাল কেয়ারে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বসতেন। তবে তিনি কয়েক বছর হল এখানে আর প্র্যাকটিস করেন না। কিন্তু তার সিল, প্যাডসহ সবকিছুই নকল করে জামাই ও শ্বশুর নিজেদের জাহির করতেন। রোগীদের কোন কোন ওষুধ লাগবে তা নূর হোসেন মুখে বলতো। আর জাহিদুল তা লিখে দিতো প্যাডে। কেননা নূর হোসেন নিজে লিখতে পারে না।
সাধারণ মানুষ ও রোগীদের বিশ্বাস নিয়ে বছরের পর বছর ধরে তারা দু’জন এ ধরনের প্রতারণার করে আসছিল। তবে তদন্তের স্বার্থে প্রকৃত চিকিৎসকের নাম প্রকাশ করতে অপারগতা প্রকাশ করেছে র্যাব।
মাকসুদ/আমিনুল
আরো পড়ুন