মজনুর বিরুদ্ধে ম্যাজিস্ট্রেটসহ চারজনের সাক্ষ্য

রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের মামলার আসামি মজনুর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডকারী ম্যাজিস্ট্রেটসহ চারজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

বুধবার (২১ অক্টোবর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসা. কামরুন্নাহারের আদালতে তারা জবানবন্দি দেন। পরে মজনুর পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী রবিউল ইসলাম রবি তাদের জেরা করেন। জেরা শেষে আদালত আগামী ২ নভেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন।

সাক্ষীরা হলেন—ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন, ডা. তৌহিদা বেগম, এসআই গিয়াসউদ্দিন এবং জনৈক সবুজ।

এ নিয়ে মামলাটিতে ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলো। সাক্ষ্য গ্রহণকালে মজনুকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

গত ৫ জানুয়ারি কুর্মিটোলায় ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন মজনু। পরে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

৮ জানুয়ারি ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন শেওড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে মজনুকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। ৯ জানুয়ারি আদালত মজনুর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ১৬ জানুয়ারি মজনু দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। এখন সে কারাগারে আছে। গত ১৬ মার্চ মজনুকে একমাত্র আসামি করে ঢাকা সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবু সিদ্দিক। ওই দিনই আদালত মামলাটি পরবর্তী বিচারের জন্য নারী ও শিশু দমন ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন। গত ১৬ আগস্ট একই আদালত মজনুর বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন। গত ২৬ আগস্ট মজনুর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়।