ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

আবরার হত্যা মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবীদের আদালত বর্জন

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:০৭, ২১ অক্টোবর ২০২০  
আবরার হত্যা মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবীদের আদালত বর্জন

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালত বর্জন করেছেন।

বুধবার (২১ অক্টোবর) ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণকালে এ কাণ্ড ঘটে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বেলা ১২টার পর মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের সিনিয়র সুপারভাইজার মতিউর রহমানকে জেরা শেষ করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীর। এরপর চকবাজার থানার এএসআই গোলাম মোস্তফা সাক্ষ্য দেন। মাঝে এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে গোলাম মোস্তফার সাক্ষ্য শেষ হয় বিকেল ৫টার দিকে। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিনুল গণি টিটোসহ কয়েকজন আইনজীবী আজকের মতো কার্যক্রম মূলতরি রাখার মৌখিক আবেদন করেন। তারা বলেন, ‘আমরা ক্লান্ত। আদালতে অনেক গরম। অস্বস্তি বোধ করছি। দয়া করে আজকের মতো কার্যক্রম মূলতরি করুন।’ তখন বিচারক বলেন, ‘না, হবে না। সাক্ষ্য গ্রহণ চলবে।’ আইনজীবীরা বলেন, ‘তাহলে সাক্ষী এএসআই রবিউল আলমের জবানবন্দি নিন। আমরা কাল জেরা করব।’ ৫টা ১০ মিনিটে রবিউল আলমের জবানবন্দি শেষ হয়। এরপর বিচারক আইনজীবীদের বলেন, ‘জেরা শুরু করুন।’ তখন আইনজীবীরা বলেন, ‘আজ থাক, আমরা কাল করব।’ বিচারক বলেন, ‘আজই শেষ করুন।’ আইনজীবীরা বলেন, ‘তাহলে আপনি করুন, আমরা চলে যাই।’ এ কথা বলে ইশতিয়াক আহম্মেদ মুন্নার আইনজীবী ছাড়া অন্য আসামিদের আইনজীবীরা আদালত বর্জন করেন। মুন্নার আইনজীবী রবিউল আলমকে জেরা শেষ করেন।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে।

এ নিয়ে মামলাটিতে ৬০ সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলো। মামলাটিতে ৫ অক্টোবর সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। সরকারি ছুটির দিন ছাড়া ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত তা অব‌্যাহত থাকবে।

এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর একই আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন।

আসামিদের মধ্যে ২২ জন কারাগারে আছে। আজ তাদের আদালতে হাজির করা হয়। তিনজন পলাতক আছে। আটজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

গত বছরের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় আবরার ফাহাদকে উদ্ধার করা হয়। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওই রাতে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

পরের দিন ৭ অক্টোবর ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ। গত ১৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

আবরার বুয়েটের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭ ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন।

ঢাকা/মামুন/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়