প্রথম আলো সম্পাদকসহ ১০ জনের বিচার শুরুর আদেশ আজ
ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী নাইমুল আবরার রাহাতের অপমৃত্যুর মামলায় দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমানসহ ১০ জনের বিচার শুরু হবে কি না সে বিষয়ে আদেশ আজ।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত এ বিষয়ে আদেশ দেবেন।
গত ১৩ অক্টোবর মামলাটির চার্জশুনানি শেষ হয়। ওই দিন ১০ আসামির অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী, প্রশান্ত কর্মকারসহ কয়েকজন।
রাষ্ট্রপক্ষে সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল, বাদীপক্ষে আসিফ ওমর ফারুক চার্জগঠনের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত চার্জের বিষয়ে আদেশের জন্য ২৭ অক্টোবর দিন ধার্য করে দেন।
অপর আসামিরা হলেন-আনিসুল হক, কবির বকুল, শুভাশিষ প্রামানিক শুভ, মহিতুল আলম পাভেল, শাহপরান তুষার, জসিম উদ্দিন অপু, মোশারফ হোসেন, সুজন ও কামরুল হায়দার।
গত বছরের ৬ নভেম্বর আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে মামলা করেন তার বাবা মুজিবুর রহমান।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, গত ১ নভেম্বর ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে কিশোরদের মাসিক সাময়িকী কিশোর আলোর বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে নাইমুল আবরার যান। অনুষ্ঠান চলাকালে সাড়ে ৩টার দিকে আবরার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। অনুষ্ঠানের জন্য যে বিদ্যুৎসংযোগ স্থাপন করা হয় তা অরক্ষিত ছিল। ঘটনাস্থলের খুব কাছে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থাকলেও আবরারকে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়।
অভিযোগে বলা হয়, নাইমুল আবরার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় আনুমানিক বেলা সাড়ে ৩টায়। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন ৪টা ৫১ মিনিটে। আবরারের মৃত্যুর সংবাদ গোপন করে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চালিয়ে যায় কিশোর আলো এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষ আবরারের মৃত্যুর বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়নি। আবরারের পরিবার এক সহপাঠীর মাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর পায়। এটি পরিকল্পিত এবং গাফিলতি ও অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড। ওই দিন আদালত আবরারের লাশ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলা এবং আদালতে দাখিল করা অবহেলাজনিত মৃত্যুর মামলা তদন্ত করতে মোহাম্মদপু থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন আদালত।
১০ জানুয়ারি মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল আলীম মামলাটি তদন্ত করে ১০ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরে আসামিরা বিভিন্ন সময়ে জামিন নেন। গত ২০ সেপ্টেম্বর মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় ঢাকা সিএমএম আদালত থেকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়।
ঢাকা/মামুন/ইভা
আরো পড়ুন