নৌবাহিনী কর্মকর্তাকে মারধরের মামলা যাচ্ছে ডিবিতে 

নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় হাজী সেলিমের ছেলে এরফান সেলিমের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্তের দায়িত্ব গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) হস্তান্তর করা হচ্ছে। 

বুধবার (২৮ অক্টোবর) রাতেই মামলাটি দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে ডিবিতে নেওয়া হচ্ছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।

রাতে ধানমন্ডি জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) আব্দুল্লাহেল কাফী রাইজিংবিডিকে বলেন, তদন্তের স্বার্থে পুলিশ অভ্যন্তরীণভাবে এ কাজটি করে থাকে। ঠিক তেমনি মারধরের ওই মামলাটিও নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রাতে যেকোনো সময় ডিবি পুলিশের কাছে মামলাটি হস্তান্তর করা হবে। 

গত ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরফান সেলিমের গাড়িটি তাকে ধাক্কা মারে। এরপর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে এরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা একসঙ্গে তাকে কিল-ঘুষি মারেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। 

এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর সকালে এরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী মো. জাহিদ, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করেন। 

ওইদিনই পুরান ঢাকার বড় কাটরায় ইরফানের বাবা হাজী সেলিমের বাড়িতে দিনভর অভিযান চালায় র‌্যাব। 

এ সময় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদক রাখার দায়ে এরফান সেলিমকে এক বছর কারাদণ্ড দেন। এরফানের দেহরক্ষী মো. জাহিদকে ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে ছয় মাসের সাজা দেন।

এরপর বুধবার র‌্যাব-৩ এর ডিএডি কাইয়ুম ইসলাম চকবাজার থানায় এরফান সেলিম ও দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের পৃথক চারটি মামলা দায়ের করেন।