ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

প্রিমিয়ার লিজিংয়ের হাজার কোটি টাকা লোপাটে দুদকের অনুসন্ধান

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৩৭, ২৯ অক্টোবর ২০২০   আপডেট: ০৮:৫০, ৩০ অক্টোবর ২০২০
প্রিমিয়ার লিজিংয়ের হাজার কোটি টাকা লোপাটে দুদকের অনুসন্ধান

প্রিমিয়ার লিজিংয়ের হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ঋণ বিতরণে অনিয়ম ও মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অভিযোগের তীর মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান ফিরোজ আলমসহ একটি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। প্রিমিয়ার লিজিংয়ের অর্থ আত্মসাতসহ তাদের অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পাচারের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করবে দুদক।

অভিযোগ রয়েছে প্রিমিয়ার লিজিংয়ে বিনিয়োগ করা অর্থের বড় অংশই ফেরত না পাওয়ায় আমানতকারীদের অর্থ পরিশোধ করতে পারছে না প্রতিষ্ঠানটি। 

এরই মধ্যে দুদকের উপপরিচালক আশরাফুন নাহারের সভাপতিত্বে একটি টিমকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। টিমের অপর সদস্য হলেন- উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ। 

দুদক পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযোগ বিষয়ে আরও জানা যায়, মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান মো. ফিরোজ আলমের ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রিমিয়ার লিজিংয়ের অর্থ আত্মসাতসহ নামে বেনামে ব্যাংকের শত শত কোটি টাকা ঋণ বিতরণ দেখিয়ে আত্মসাৎ, অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচার করেছেন।

কাগজে-কলমে প্রিমিয়ার লিজিংয়ের খেলাপি ঋণ এক-তৃতীয়াংশ। যদিও বাস্তবতা বলছে প্রতিষ্ঠানটির খেলাপি ঋণ অর্ধেকেরও বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংক ও প্রিমিয়ার লিজিংয়ের তথ্য বলছে, প্রিমিয়ার লিজিংয়ের প্রায় সব শীর্ষ গ্রাহকই নাম লিখিয়েছে খেলাপির খাতায়। 
২০০১ সালে যাত্রা করা প্রিমিয়ার লিজিংয়ের মোট আমানত ৮০৭ কোটি টাকা। এরইমধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি ঋণ ও লিজিং হিসেবে ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। বিনিয়োগ করা অর্থের বড় অংশই ফেরত না পাওয়ায় আমানতকারীদের অর্থ পরিশোধ করতে পারছে না প্রতিষ্ঠানটি। 

প্রতিষ্ঠানটির কাছে প্রায় ৯০০ আমানতকারীর জমা আছে ৯৫ কোটি টাকার সঞ্চয়। আমানত হিসেবে রাখা এ অর্থ ফেরত পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। মোট ১ হাজার ৭২০ কোটি টাকা সম্পদের প্রিমিয়ার লিজিং ঋণ, মেয়াদি আমানত ও কলমানি হিসেবে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ধার করেছে ৭০০ কোটি টাকার বেশি। এ অর্থ ফেরত দিতে পারছে না প্রতিষ্ঠানটি।

ঢাকা/এম এ রহমান/জেডআর

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়