ভুয়া রসিদে যাকাতের অর্থ আদায়ের অভিযোগের সত‌্যতা পেলো দুদক

ভুয়া রসিদের মাধ্যমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামে জনসাধারণের কাছ থেকে যাকাতের অর্থ আদায় এবং আত্মসাতের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানে কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করেনি দুদক টিম।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হোসাইন শরিফের নেতৃত্বে একটি টিম ইসলামিক  ফাউন্ডেশনের নীলফামারীর অফিসে অভিযান চালায়।  এতে এ বিষয়ে প্রমাণ পাওয়া গেছে।  এখন কমিশন থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এছাড়া আজ দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে সারা দেশে ১১টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। 

দুদক জানায়, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নীলফামারী অফিসে অভিযানে দুদক টিম যাকাত আদায় সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখে। এতে দেখা যায়, পবিত্র রমজান মাসে ইসলামিক ফাউন্ডেশন জনসাধারণের কাছ হতে রশিদ দিয়ে যাকাতের অর্থ সংগ্রহ করে। কিন্তু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভুয়া রশিদ বই ছাপিয়ে জনসাধারণের কাছ হতে আদায়কৃত জাকাতের অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে তা আত্মসাৎ করেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে। এছাড়া যাকাতের অর্থ বণ্টনের ক্ষেত্রে প্রকৃত গরিব জনসাধারণকে না দিয়ে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীর আত্মীয় স্বজনকে তা দেওয়ার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া যায়। বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধানের অনুমোদন চেয়ে কমিশনের নিকট প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে অভিযান পরিচালনাকারী টিম।

এছাড়া আজ চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের হিসাব সহকারীর বিরুদ্ধে ভুয়া অভিজ্ঞতা সনদ তৈরি করে চাকরি গ্রহণ এবং শ্রীবাড়ি চা বাগান চুনারুঘাট, হবিগঞ্জে চা বাগান সভাপতির বিরুদ্ধে চা শ্রমিকদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি অনুদানের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পৃথক অভিযান পরিচালিত হয়েছে।