ই-কমার্সের নামে প্রতারণা, দুজন রিমান্ডে
ই-কমার্সের নামে প্রতারণা করে ২৬৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় দুজনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) আল আমিন ও জসিমকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন পুলিশ।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী ‘এসপিসি ওয়ার্ল্ড এক্সপ্রেস’ নামে ওই মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানি এমডি ও সিইও আলামিন প্রধানের চারদিন এবং নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জসিমের তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, এসপিসি ওয়ার্ল্ড এক্সপ্রেস লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি ই-কোর্সের ই-কমার্সের নামে লাইসেন্সবিহীন পিরামিড আকৃতির অনলাইনভিত্তিক মাল্টিলেভেল মার্কেটিং পরিচালনা করে আসছিল। তারা সাধারণ মানুষকে বেশি কমিশনের প্রলোভন দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
গত ২৬ অক্টোবর রাজধানীর কলাবাগান থানাধীন এফ হক টাওয়ারে ডিবি (সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম) অভিযান চালিয়ে চার জনকে গ্রেপ্তার করে। এ বিষয়ে কলাবাগান থানায় মামলা হয়। সোমবার (২ নভেম্বর) মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে এ চক্রের প্রধান আল-আমিন ও মো. জসিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার অন্য চারজন হলেন- ম্যানেজার মানিক মিয়া ও মো. তানভীর আহমেদ (ম্যানেজার), সহকারী ম্যানেজার পাপেল সরকার ও অফিস সহকারী মো. নাছির উল্লাহ (অফিস সহকারী)।
এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ডেসটিনি বন্ধ হয়ে গেলে দীর্ঘদিন গবেষণা করে তাদের ব্যবসা পদ্ধতি অনুসরণ করে এই অনলাইন ভিত্তিক প্রতারণা শুরু করেন গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। প্রতিষ্ঠানের প্রধান, এমডি, ডিরেক্টর, অফিসার সম্মিলিতভাবে মাত্র ১০ মাসের মধ্যে প্রলোভন দেখিয়ে ২২ লাখ ২৬ হাজার ৬৬৮ মেম্বারের আইডি থেকে প্রায় ২৬৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
ব্যবসা কার্যক্রম অনলাইনভিত্তিক হওয়ায় বাংলাদেশের বাইরে ও ১৭টি দেশে বাংলাদেশি প্রবাসী, বিদেশিসহ প্রায় ৫ লাখ সদস্য রয়েছে বলেও তিনি জানান।
মামুন/সাইফ
আরো পড়ুন