অস্ত্র-মাদক মামলায় এসআই জলিলের বিচার শুরু

রাজধানীর দারুস সালাম থানাধীন সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস অফিস থেকে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মো. আ. জলিল মাতব্বরের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক মামলায় চার্জগঠন করেছেন আদালত। আগামী ৮ ডিসেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার (৮ নভেম্বর) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠনের আদেশ দেন।

এদিন কারাগারে থাকা আ. জলিল মাতব্বরকে আদালতে হাজির করা হয়। আসামির পক্ষে তার আইনজীবী খলিলুর রহমান অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী সাবিনা ইয়াসমিন চার্জগঠনের পক্ষে শুনানি করেন।

আজ আ. জলিল মাতব্বরের জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধীতা করা হয়। শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।

উল্লেখ্য, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দারুস সালাম থানা এলাকা থেকে জলিল মাতব্বরকে আটক করা হয়। তিনি নারায়ণগঞ্জের জেলা গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) কর্মরত ছিলেন। সেখান থেকে তাকে গোপালগঞ্জে বদলি করা হয়।

জানা গেছে, এসআই আবদুল জলিল মাতব্বর তার বিভিন্ন জিনিসপত্র কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে গোপালগঞ্জের উদ্দেশ্যে পাঠিয়েছিলেন। পার্সেলটি দারুস সালামে কুরিয়ার সার্ভিসের অফিসে থাকার সময় তা থেকে মাদকের গন্ধ ছড়াতে থাকে।

ভেতরে নিষিদ্ধ সামগ্রী থাকতে পারে বলে সন্দেহ হওয়ায় কুরিয়ার কর্তৃপক্ষ বিষয়টি পুলিশকে জানায়। দারুস সালাম থানা-পুলিশ গিয়ে পার্সেল খুলে ইয়াবা, ২৭ রাউন্ড গুলি, দুটি ম্যাগজিন ও একটি পিস্তল উদ্ধার করে।

পরে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দারুস সালাম থানায় মামলা দুটি দায়ের করেন সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) দুলাল হোসেন।