ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

সগিরা মোর্শেদ হত্যা: শিশু আদালতে বিচারের আবেদন খারিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩৫, ১০ নভেম্বর ২০২০  
সগিরা মোর্শেদ হত্যা: শিশু আদালতে বিচারের আবেদন খারিজ

আসামি মারুফ রেজা

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল এলাকায় তিন দশক আগে (১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই) সগিরা মোর্শেদ সালাম হত্যা মামলার আসামি মারুফ রেজার (৫৯) বিচার শিশু আদালতে করার নির্দেশনা চেয়ে করা আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট দেওয়ান আব্দুন নাসের।

এর আগে ৯ নভেম্বর মারুফ রেজার বিচার শিশু আদালতে করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।

আব্দুন নাসের বলেন, আসামি মারুফ রেজা তার বিচার শিশু আইনে করার জন্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবেদন করেন। আসামিপক্ষের যুক্তি, ‘অপরাধ যখন সংঘটিত হয়েছে তখন জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট অনুযায়ী ঘটনার সময় মারুফের বয়স ছিল ১৬ বছর ১০ মাস ২৬ দিন। সুতরাং ২০১৩ সালের শিশু আইন অনুযায়ী তার বিচার হতে হবে শিশু আদালতে। মহানগর দায়রা জজ আদালতে এই আসামির বিচার হতে পারে না।

গত ৭ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত এ আবেদন খারিজ করে দেন। এ অবস্থায় ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের রিভিশন আবেদন করেন মারুফ রেজা।

গত বছর বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এক আদেশে মামলাটির তদন্ত করতে পিবিআইকে নির্দেশ দেন। এ নির্দেশে পিবিআই তদন্ত শেষে নিহত মোর্শেদের স্বামীর বড়ভাইসহ চার আসামির বিরুদ্ধে গত ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এ অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটি অভিযোগ গঠন পর্যায়ে রয়েছে।

১৯৮৯ সালের ২৫ এপ্রিল নিহত হন গৃহবধূ সগিরা মোর্শেদ সালাম। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরী রমনা থানায় মামলা করেন। এ মামলায় তদন্ত শেষে পুলিশ মন্টু ওরফে মরণের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ১৯৯১ সালের ১৭ জানুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত। এরপর সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণকালে ঘটনার সঙ্গে মারুফ রেজা নামের এক ব্যক্তির সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া যায়। এরপর মামলায় অধিকতর তদন্তের আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। আদালত ওই বছরের ২৩ মে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে মারুফ রেজা হাইকোর্টে আবেদন করেন। হাইকোর্ট ১৯৯১ সালের ২ জুলাই মামলার কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেন। একইসঙ্গে মামলা কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। এই মারুফ রেজা তৎকালীন এরশাদ সরকারের  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিকটাত্মীয়। পরবর্তী সময়ে ১৯৯২ সালের ২৭ আগস্ট আরেক আদেশে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। দীর্ঘ ২৮ বছর পর গতবছর ২৬ জুন হাইকোর্ট ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে আদেশ দেন।  

ঢাকা/মেহেদী/ইভা 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়