এএসপি আনিস হত্যা: হাসপাতালের পরিচালক রিমান্ডে

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক ফাতেমা খাতুনের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (১৫ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহ শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।

গত ১২ নভেম্বর ফাতেমা খাতুনকে গ্রেপ্তারের পর আদাবর থানায় নেওয়া হয়। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত। থানা হেফাজতে থাকার সময় ১৩ নভেম্বর দুপুরে বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে নেওয়া হয়। সুস্থ হওয়ার পর রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. ফারুক মোল্লা তাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

এদিকে, এ মামলায় গত ১০ নভেম্বর ১০ আসামির সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। মামলাটিতে গ্রেপ্তার হওয়া মাইন্ড এইড হাসপাতালের আরেক পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদও বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাখাওয়াত হোসেন ও সাজ্জাদ আমিন এখনও পলাতক।

জানা গেছে, পারিবারিক ঝামেলার কারণে আনিসুল করিম মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ৯ নভেম্বর দুপুর পৌনে ১২টার দিকে আনিসুলকে মাইন্ড এইড হাসপাতালে আনা হয়। ভর্তির কিছুক্ষণ পর হাসপাতালে কর্মচারীদের ধস্তাধস্তি ও মারধরে আনিসুল করিমের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করছেন তার পরিবার। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ৩৩তম ব্যাচের ছাত্র আনিসুল করিম ৩১তম বিসিএসের মাধ‌্যমে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান। এক সন্তানের জনক আনিসুলের বাড়ি গাজীপুরে।

মৃত‌্যুর আগে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে সহকারী কমিশনার হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন আনিসুল করিম।