ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ সত্ত্বেও ইউপি চেয়ারম্যানকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৩২, ২১ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৮:৩৪, ২১ নভেম্বর ২০২০
অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ সত্ত্বেও ইউপি চেয়ারম্যানকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ

সরকারি অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে মামলার আসামি না করে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিরুদ্ধে।

শনিবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নের সচেতন নাগরিকদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন মো. শাহিদুল আলম নাহিদ।

এ বিষয়ে হাইকোর্টে রিটও করেছেন ভুক্তভোগীরা। আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে আগের আদেশ বাতিল করে অভিযোগকারীর আবেদন পুনঃবিবেচনার জন্য দুদক চেয়ারম্যানকে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০১১ সাল থেকে দাঁতমারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন মো. জানে আলম। গত ২০১৫-২০১৬ ও ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ করা ৪০ দিনের কর্মসংস্থান কর্মসূচির প্রায় সোয়া কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর দুদক চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করি। এরপর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর তদন্ত কর্মকর্তা দীর্ঘ তদন্ত শেষে ৪১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করেন। যেখানে চেয়ারম্যান মো. জানে আলমসহ সংশ্লিষ্ট পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদক আইনে মামলা দায়ের, জানে আলমের সম্পদ বিবরণীর নোটিশ জারি এবং উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলামসহ অন‌্য সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, তদন্ত কর্মকর্তার সুপারিশকে উপেক্ষা করে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানকে মামলা থেকে কৌশলে বাদ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি আমরা অবগত হওয়ার পর দুদক চেয়ারম্যান বরাবর বিষয়টি পুনঃবিবেচনার জন্য গত ৮ অক্টোবর এবং ৯ নভেম্বর পৃথক দুটি আবেদন করি। কিন্তু আমাদের আবেদনগুলোকে দুদকের প্রধান কার্যালয় আমলে না নিয়ে আগের সিদ্ধান্তে অটল থাকে। এ অবস্থায় আমরা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করি। গত ১৯ নভেম্বর বিচারপতি এনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের দ্বৈত বেঞ্চ শুনানি শেষে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে আগের আদেশ বাতিল করে অভিযোগকারীর আবেদন পুনঃবিবেচনার জন্য দুদক চেয়ারম্যানকে আদেশ দেন।

অনিয়মের প্রতিবাদ করায় ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেনকে এবং অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিক আবু মুছা জীবনকে দুটি করে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।

সরকারি অর্থ আত্মসাতের দায়ে ওই ইউপি চেয়ারম্যানের শাস্তি দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।

ঢাকা/এমএ রহমান/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়