১০৫ জনের মুক্তিযোদ্ধা গেজেট নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ বহাল

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ১০৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মুক্তিযোদ্ধা গেজেট বাতিলের প্রজ্ঞাপন স্থগিত করে হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। বিমান বাহিনীর একজনের ক্ষেত্রে একই আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর ফলে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

রোববার (২২ নভেম্বর) আপিল বিভাগের বিচারপতি নূরুজ্জামানের চেম্বার আদালত এ আদেশ দেন।  

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও তুষার কান্তি রায়। রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আহসানুল করীম। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল কাইয়ূম।  

দুই বাহিনীর ১০৫ জনের মধ্যে একজন বিমান বাহিনীর বেসামরিক কর্মচারী এবং বাকিরা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য।

আইনজীবী আব্দুল কাইয়ূম বলেন, ৭ জুন ১ হাজার ১৩৪ জন বিজিবি সদস্যের গেজেট বাতিল করে সরকার। ওই গেজেটে বলা হয়, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন ২০০২ এর ৭ (ঝ) ধারা অনুযায়ী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে রুলস অব বিজনেস ১৯৯৬-এর শিডিউল-১ এর তালিকা ৪১-এর ৫ নম্বর ক্রমিকে দেওয়া ক্ষমতা বলে জামুকার ৬৬তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্বাধীনতা যুদ্ধের পর (১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালের) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এ যোগদানকরা মুক্তিযোদ্ধাদের ১১৩৪ জনের নামে প্রকাশিত গেজেট বাতিল করা হলো।

একই দিন বিমানবাহিনীর ৪৭ কর্মকর্তা-কর্মচারীর মুক্তিযোদ্ধা গেজেট বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এর বিরুদ্ধে পৃথক রিট আবেদন করে সংক্ষুব্ধরা। তখন হাইকোর্ট প্রজ্ঞাপনের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে ভাতা দিতে নির্দেশ দেন।

এর বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয় আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করে। আদালত স্থিতাবস্থা দিয়ে আগামী বছরের ২৯ জুলাই পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন