ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

দুই নবজাতকের মৃত্যু: ৪ অ্যামিকাস কিউরির বক্তব্য শুনবেন হাইকোর্ট

|| রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:১৫, ২৫ নভেম্বর ২০২০  
দুই নবজাতকের মৃত্যু: ৪ অ্যামিকাস কিউরির বক্তব্য শুনবেন হাইকোর্ট

তিন হাসপাতালে ঘুরে জমজ নবজাতক মৃত্যুর ঘটনায় জারি করা রুল শুনানিতে মতামত জানতে চার অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) নিয়োগ দিয়েছেন হাইকোর্ট। অ্যামিকাস কিউরি হলেন, অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, আইনজীবী শাহদীন মালিক, মনজিল মোরসেদ ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের একজন সিনিয়র শিশু বিশেষজ্ঞ।

বুধবার (২৫ নভেম্বর) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালকুদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

আরও পড়ুন: দুই নবজাতকের মৃত্যু: তিন হাসপাতালের ব্যাখ্যা হাইকোর্টে

মুগদার ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সুপারিনটেন্ডেন্টের পক্ষে আইনজীবী আব্দুল খালেক, শিশু হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর সৈয়দ শফি আহমেদের পক্ষে আইনজীবী মাহবুব শফিক এবং বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালের উপ-পরিচালকের পক্ষে আইনজীবী কাজী এরশাদুল আলম এসব প্রতিবেদন জমা দেন।

এর আগে গত ২ নভেম্বর অসুস্থ জমজ নবজাতককে কেন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি তার ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিএসএমএমইউ হাসপাতাল ও ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালককে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

এর আগে তিন হাসপাতাল ঘুরে জমজ নবজাতক মৃত্যুর ঘটনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়,ঢাকা শিশু হাসপাতাল এবং মুগদার ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের  ব্যাখ্যা হাইকোর্টে দাখিল করা হয়।

একইসঙ্গে অসুস্থ জমজ নবজাতককে হাসপাতালে ভর্তি করতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক জানিয়েছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের কর্মচারী আবুল কালামের স্ত্রী ২ নভেম্বর সকালে অসুস্থ বোধ করলে হাসপাতালের নেওয়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পথিমধ্যে রাস্তায় সিএনজিতে জমজ সন্তান প্রসব করেন আবুল কালামের স্ত্রী সায়েরা খাতুন। পরে মুগদা ইসলামিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভর্তি করেন। এক পর্যায়ে মুগদা হাসপাতাল তাদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না থাকায় ঢাকা শিশু হাসপাতালে রেফার করেন। শিশু হাসপতালে নিয়ে যাওয়া হলে তারা ভর্তি নেয়নি। এরপর বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে নবজাতক শিশুদের নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেও ভর্তি নেয়নি। অবশেষে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণেই মারা যায় জমজ নবজাতক। এরপর দুই নবজাতকের লাশ নিয়ে ন্যায় বিচার চাইতে হাইকোর্টে আসেন তাদের বাবা আবুল কালাম। বিষয় হাইকোর্ট নজরে নিয়ে এ আদেশ দেন।

ঢাকা/মেহেদী/এসএম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়