ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

আ.লীগ নেতা আতিক হত্যা: ৭ জনের মৃত‌্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১৫, ২ ডিসেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৫:০৪, ২ ডিসেম্বর ২০২০
আ.লীগ নেতা আতিক হত্যা: ৭ জনের মৃত‌্যুদণ্ড

ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা আতিক উল্যাহ চৌধুরী হত্যা মামলায় ৭ আসামির মৃত‌্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া, একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, গুলজার হোসেন, আসিফ, শিহাব আহম্মেদ ওরফে শিবু, আহসানুল কবির ইমন, তাজুল ইসলাম তানু, জাহাঙ্গীর খাঁ ওরফে জাহাঙ্গীর ও রফিকুল ইসলাম ওরফে আমিন ওরফে টুন্ডা আমিন। এছাড়া, খালাসপ্রাপ্ত আসামি হলেন শম্পা।

এদিকে আতিক উল্যাহকে খুনের পর লাশ গুমের অভিযোগে এ সাতজনকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত‌্যেককে ৫০ হাজার টাক জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও এক বছরের সশ্রম কারাভোগ করতে হবে।

দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে জাহাঙ্গীর খাঁ ও আহসানুল কবির ইমন রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। অপর ৫ আসামি পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

রায়ে আতিক উল্যাহর ছেলে মামলার বাদী মো. সাইদুর রহমান চৌধুরী ওরফে ফারুক সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট। রায় যেন দ্রুত কার্যকর হয় সেই দাবি জানাচ্ছি।’ 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আবু আব্দুল্লাহ ভূঞা বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। আদালত যে রায় দিয়েছেন তাতে আমরা সন্তুষ্ট। আমি মনে করি, রাষ্ট্রের যে কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধা হত্যার ন্যায়বিচার হওয়াটা খুব জরুরি ছিলো।’
তবে রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। তারা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানান।

গত ১০ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের দিন ধার্য করেন ১৮ অক্টোবর। তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় কয়েক দফায় দিন পেছানো হয়।

২০১৩ সালের ১০ ডিসেম্বর নিখোঁজ হন মুক্তিযোদ্ধা ও ইউপি চেয়ারম্যান আতিক উল্যাহ চৌধুরী। পরদিন ১১ ডিসেম্বর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের দোলেশ্বর এলাকায় তার আগুনে পোড়া মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এটিএম কার্ড দেখে মরদেহ শনাক্ত করেন নিহতের ছেলে সাইদুর রহমান ফারুক চৌধুরী।

এ ঘটনায় সাইদুর রহমান ফারুক চৌধুরী দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। ২০১৫ সালের ২ জুলাই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

ঢাকা/মামুন/ইভা 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়